শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

জটিলতা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে

ছাত্রদল ছাড়া ১০ অঙ্গসংগঠনের মেয়াদ পার হলেও কমিটি গঠনে আগ্রহ নেই

মাহমুদ আজহার

জটিলতা বিএনপির সহযোগী সংগঠনে

বিএনপির ‘প্রাণশক্তি’ বলে খ্যাত জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। প্রায় দেড় বছর আগে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে যুবদলের। একই অবস্থা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলেরও। এ সংগঠনেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে অন্তত দুই বছর আগে। ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাই করা হলেও দুই বছরে তারাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি। আর মাত্র দুই মাস পরই এই সহযোগী সংগঠনটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাবে। শুধু এই ৩টিই নয়, ছাত্রদল বাদে বাকি বিএনপির ১০টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনই এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে স্থবির হয়ে আছে এসব সংগঠন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলছেন। কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নানা অজুহাত দেখিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেন না। তবে অঙ্গসংগঠনের নেতারা সবকিছুই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর চাপিয়ে দেন। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে ও স্বপদে টিকে থাকতেই বিএনপির হাইকমান্ডের ওপর দোষ চাপান তারা। 

জানা যায়, ছাত্রদলের সাবেক ৫ শতাধিক নেতা এখন পদহীন পরিচয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় তারা কোথাও জায়গা পাচ্ছেন না। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলেরও বেশ কিছু সাবেক নেতা এখন পদহীন। অঙ্গসংগঠনের কমিটি-জট না কাটায় বিএনপির হাইকমান্ডও তাদের বিষয়ে কোনো ফয়সালা দিতে পারছেন না। পদবঞ্চিত সাবেক ছাত্রনেতারা বলছেন, নিজেদের নিজের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখতেই অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা কমিটি নিয়ে ভাবছেন না। এদিকে কাউন্সিল করে ছয় মাসেও কমিটি দিতে পারেনি কৃষক দল।

বিএনপির অঙ্গসংগঠন ৯টি আর সহযোগী সংগঠন দুটি। এসবের মধ্যে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল মেয়াদ শেষ করেছে সুপার ফাইভ কমিটি দিয়েই। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আংশিক কমিটি ঘোষণা করে এ দুই অঙ্গসংগঠন। কৃষক দলের কাউন্সিল হয়েছে, কিন্তু কমিটি হয়নি। এ ছাড়া মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল ও ওলামা দলের কমিটি ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেসবের মেয়াদও শেষ হয়েছে অনেক আগে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো সংগঠনই কাউন্সিল করতে পারেনি। মহিলা দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে। সহযোগী সংগঠনের মধ্যে শ্রমিক দলের মেয়াদ শেষ হয়েছে আরও চার বছর আগে। ছাত্রদলের কমিটি চলছে আংশিক কমিটি দিয়ে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। আমরা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিকূল অবস্থায় দল পরিচালনা করছি। সরকারের বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দল ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনের কাজ চলছে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছি না। ভার্চুয়ালে নানা কার্যক্রম চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

ছাত্রদল : ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিন মাস পর ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বয়সের সীমা বেঁধে দিয়ে গঠিত সংগঠনের নতুন কমিটিকে গতিশীল করতে নানা চেষ্টা চালাচ্ছেন ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান। কিন্তু ছাত্রদলের সুপার ফাইভসহ সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কমিটি গঠনে বাণিজ্য, স্বজনপ্রীতিসহ হাজারও অভিযোগ। সেপ্টেম্বরে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলে নতুন কমিটি হবে, নাকি বর্তমান কমিটির মাধ্যমেই ছাত্রদল পরিচালিত হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে বর্তমান নেতৃত্বের বাইরেও বিকল্প ভাবনা আছে বলে জানা গেছে।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, বর্তমান নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে না পারলেও প্রথমবারের মতো সারা দেশে পৌর, উপজেলা ও কলেজ শাখায় ১ হাজার ৪৩১টির মতো কমিটি দেওয়া হয়েছে। সমমর্যাদার মাত্র দুই শতাধিক কমিটি গঠন বাকি আছে। তবে ১৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র  ঢাকা জেলা উত্তর, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, খুলনা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক কমিটি দিতে পেরেছে ছাত্রদলের বর্তমান নেতৃত্ব। এ ছাড়া ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯টি মেডিকেল কলেজ শাখার কমিটিও হয়েছে বলে জানা গেছে। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। কেউ পদ না পেলেই নানা অভিযোগ করেন। আর তৃণমূলের কোনো কমিটিই তারা নিজেরা করেন না। একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কমিটি হয়। নানাভাবে যাচাই-বাছাই করে সব পক্ষকে নিয়েই মাঠপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। পদপ্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এতে তারা বলেন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সুপার ফাইভ ১ জানুয়ারি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পূর্ণাঙ্গকরণের আশ্বাস দিলেও তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিগত দিনের মতো এবারও টালবাহানা করা হচ্ছে। রাজপথে ‘দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয়’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

যুবদল : ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর ১১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে বিগত দিনের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের পদায়ন সম্ভব হয়নি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে ঘোষণা করা হবে, তা কেউ জানে না। যুবদলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলছেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই হবে। কিন্তু বছরের পর বছর যায় কমিটি হয় না। সারা দেশে জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনে তৎপর রয়েছে সংগঠনটি। এসব কমিটি গঠনেও নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আন্দোলন-সংগ্রামের প্রধান ক্ষেত্র ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদলের কমিটিও রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণের তালিকায়। সুপার ফাইভ কমিটি দিয়েই তাদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে যুবদল সূত্র জানায়, সারা দেশে সাংগঠনিক ৮২ জেলার প্রায় সবই কমিটি হয়েছে। পৌর, থানা, উপজেলা পর্যায়েও ৯৩৫টি ইউনিটের মধ্যে কমিটি হয়েছে ৭০০টির। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, করোনাসহ নানা ধরনের প্রতিকূলতায় তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি। তারা এ নিয়ে কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হবে বলে জানান এ দুই নেতা।

স্বেচ্ছাসেবক দল : ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘোষিত কমিটিতে সংগঠনের সভাপতি করা হয় প্রয়াত শফিউল বারী বাবুকে। সাধারণ সম্পাদক হন আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। মেয়াদ শেষের এক বছর পর গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর সুপার ফাইভ কমিটিকে ১৪৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে পরিণত করে আংশিক কমিটি করা হয়েছে। এরপর আরেক দফায় ১০ জনকে সদস্য ও কিছু উপদেষ্টা ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে কমিটি এখন ১৭২ সদস্যবিশিষ্ট। পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। তবে সারা দেশে সাংগঠনিক ৮১টি জেলার প্রায় সবটিরই কমিটি সম্পন্ন হয়েছে সংগঠনটির। এ ছাড়া ছয় শতাধিক জেলা ও থানার কমিটি হয়েছে। কয়েকটি সাংগঠনিক জেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানা কমিটি গঠনে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কৃষক দল : দীর্ঘ ২২ বছর পর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের চার মাস পার হলেও কমিটি ঘোষণা হয়নি। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক দলের কমিটি ভেঙে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুকে আহ্বায়ক এবং কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনকে সদস্য সচিব করে ১৫৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অজানা কারণে কমিটি ঘোষণা হয়নি। কেন কমিটি হচ্ছে না তা কেউ বলতে পারছেন না। এদিকে কেন্দ্রীয় কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা যোগ্য ও পরীক্ষিতদের দিয়ে দ্রুত সংগঠনের নেতৃত্ব বাছাই করার দাবি জানিয়েছেন।

শ্রমিক দল : অভ্যন্তরীণ কোন্দল-গ্রুপিংয়ে হযবরল অবস্থার শিকার মেয়াদোত্তীর্ণ শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা বাড়াতে ও সংগঠনে গতি আনতে বিএনপি নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে লাগেনি। দুই বছরের কমিটি পা রেখেছে সাত বছরে। একাধিকবার সময় দিয়েও কাউন্সিল করতে পারেনি শ্রমিক দল। ২০১৪ সালের ১৯ ও ২০ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের জাতীয় কাউন্সিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।

মহিলা দল : ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মহিলা দলের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ এ কমিটিকে গত বছর ৪ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ করা হয়। কিন্তু একাধিক গ্রুপে বিভক্ত এ সংগঠনকে এড়িয়ে চলছেন খোদ মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা। এ সংগঠনের সাধারণ নেতা-কর্মীরা এখন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামসহ অন্যান্য সংগঠনে জড়িয়ে পড়ছেন। যুব মহিলা দল গঠনে দলের হাইকমান্ডের কাছে আবেদন-নিবেদন করছেন নেতা-কর্মীরা।

জাসাস : ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারির গঠিত জাসাসের আংশিক কমিটিকে গত বছর ২৩ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ করা হয়। কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলয়ের নেতা-কর্মীদের পাল্লা ভারী করার প্রতিযোগিতায় বেশির ভাগ নতুন মুখ নিয়ে আসা হয়েছে, যারা কোনো দিন এ সংগঠনে সম্পৃক্তই ছিলেন না। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো ভূমিকাই পালন করতে পারছে না জাসাস। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নতুন কমিটির দাবিতে তারেক রহমানের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন।

মৎস্যজীবী দল : ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ১০ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ মৎস্যজীবী দলের কমিটিকে ভেঙে সংগঠনের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাবকে আহ্বায়ক ও আবদুর রহিমকে সদস্য সচিব করা হয়। দেড় বছরের বেশি সময় পেরোলেও নতুন কমিটি গঠনের ধারেকাছেও যেতে পারেননি নেতারা।

ওলামা দল : ১৪ বছরের মেয়াদোত্তীর্ণ ওলামা দলের কমিটি ভেঙে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হককে আহ্বায়ক এবং মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারকে সদস্য সচিব করে ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তবে মেয়াদ শেষে এখন পর্যন্ত কাউন্সিলের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারেননি এ সংগঠনের নেতারা। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, শুধু মিলাদ মাহফিলের মধ্যেই সংগঠনের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর