বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পশ্চিমা গণমাধ্যমের মাতব্বররা সোশ্যাল মিডিয়া ও সিটিজেন রিপোর্টিং অর্থাৎ নাগরিক কর্তৃক রিপোর্টিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। নাগরিক সমস্যাকে তুলে ধরে সরকার তা সমাধানে কাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে গুজব ও মিথ্যা ঘটনা সৃষ্টির জন্য। হাজারটা মিথ্যা, গুজব, চরিত্র হনন ও কুৎসা রটনার মধ্যেও আমরা ভালো সংবাদ খুঁজছি।’ গতকাল লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত কবরস্থানের ফলক উন্মোচন শেষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইজিপি বলেন, পুলিশ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, টুইটারসহ সোশ্যাল মিডিয়ার সব অনুসর্গে তৎপর রয়েছে। আর ভালো একটি সংবাদে নিজেদের উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করার পর শেষকৃত্যটা তার ধর্মীয় অধিকার। এটি তার অবিচ্ছেদ্য মানবাধিকার এবং তার পরিবারের নৈতিক কর্তব্য। ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দেশে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে, এমন একটি উন্নত দেশে মানুষের মৃত্যু হবে আর তার কবরের জায়গা নেই এমন সংবাদে আমার স্ত্রীর অনুপ্রেরণায় লক্ষ্মীপুরের ভূমিহীন মানুষের জন্য এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।’ জেলা পুলিশের আয়োজনে সদর উপজেলার চরমনসা এলাকায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলিন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রমুখ। এর আগে আইজিপির নিজস্ব অর্থায়নে ২৯ শতক জমিতে নির্মিত কবরস্থান ও মসজিদের নামফলক উন্মোচন করেন পুলিশপ্রধান। পরে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে রামগতি ও কমলনগরের প্রায় ২ হাজার পরিবার স্থানীয় বিভিন্ন সড়কের পাশে আশ্রিত আছে। এসব পরিবারের কোনো জায়গা-জমি না থাকায় কেউ মারা গেলে দাফনের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তেন তারা। একই সঙ্গে মসজিদ না থাকায় নামাজ আদায়ে বিঘ্ন ঘটত মুসল্লিদের। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের পর আইজিপির নজরে আসে। পরে তার নির্দেশনায় ও নিজস্ব অর্থায়নে কবরস্থানসহ মসজিদ নির্মাণ করা হয়।
