সড়ক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী সালেহ আহম্মেদ ও এস এম শরীফুল ইসলাম। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চালকের আসনে থাকা ৪২ হাজার ইয়াবাসহ আটক আলমগীর হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় কৌশলে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যান। এ সময় গাড়িটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে দুই এসআই নিহত ও এক এএসআই গুরুতর আহত হন। গতকাল পর্যন্ত আলমগীর হোসেনকে আটক করা যায়নি। এদিকে, নিহত দুই এসআইয়ের জানাজা দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁর মেঘনা টোলপ্লাজায় তল্লাশি চৌকিতে একটি গাড়িকে থামার জন্য সংকেত দেওয়ার পর সেটি এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে গাড়িসহ ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। ওই সময় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৪২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর আলমগীরকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয়। এ সময় তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এসপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনের পর তাকে নিয়ে থানায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে, তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারতেন না। ফলে তারা আসামিকে গাড়ি চালানোর দায়িত্ব দেন। এ সুযোগে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় গাড়ি থেকে কৌশলে লাফ দিয়ে তা খাদে ফেলে দিয়ে চালক পালিয়ে যান। এতে দুই এসআই নিহত হন ও গুরুতর আহত হন এক এএসআই।