বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

জিয়াই বঙ্গবন্ধুর আসল খুনি : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর আসল খুনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের সময় প্রসিডিংস ও সাক্ষ্যে এটা স্পষ্ট, জিয়াউর রহমান এ হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তা না হলে খন্দকার মোশতাক তাকে সঙ্গে সঙ্গে সেনাপ্রধান করবে কেন? তাকে তো সেনাপ্রধান করেছে। এগুলো রেকর্ড। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।’

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের গতকালের বৈঠকে ৭১ বিধিতে আনা একটি ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভাকে ধন্যবাদ দিতে আনা এ ধন্যবাদ প্রস্তাবটি পরে গৃহীত হয়। আওয়ামী লীগের শাজাহান খান (মাদারীপুর-২) ধন্যবাদ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, মুহাম্মদ ফারুক খান, উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ ও মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার; জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ ও পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু, বিএনপির হারুনুর রশীদ, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান ও ফরিদা খানম। বিএনপির হারুনুর রশীদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখনো, আজকের সংসদে বিএনপির একজন সদস্য কী বললেন, সেটা দেখলেন! বুঝলেন তাদের মানসিকতা! এরা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এদের অন্তরে এখনো সেই পেয়ারের পাকিস্তান রয়ে গেছে। পাকিস্তানের গোলামিটাই তারা পছন্দ করে। বিএনপির হারুন সাহেবের বক্তব্যে এটা প্রকাশ হলো না?’

এর আগে প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ প্রস্তাব উত্থাপনকারী শাজাহান খানের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী হিসেবে যেটা বলা হয়েছে, তা অনুমাননির্ভর। শেখ মুজিবুর হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। রায় হয়েছে, দন্ড কার্যকর হয়েছে। এখানে তো জিয়াউর রহমানের নাম ধারেকাছেও ছিল না। এখানে অনুমাননির্ভর বক্তব্য দিয়ে আলোচনাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি শাজাহান খান প্রস্তাবের বাইরে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে অপ্রাসঙ্গিক দাবি করে তা এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা আরও বলেন, ‘খুনিকে কেন খুনি বলবে না। তো কী বলবে? আমার কাছে ছবি আছে। ১৯৮৭ সালে খালেদা জিয়া এবং কর্নেল ফারুক কথা বলছেন, সেই ছবি আমার কাছে আছে। মাননীয় স্পিকার আপনার কাছে সেই ছবি পাঠিয়ে দিয়েছি। কর্নেল ফারুক আর রশীদের বিবিসির ইন্টারভিউতে আছে জিয়াউর রহমান তাদের সঙ্গে ছিল।’ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স প্রত্যাহারের পর আমরা যখন মামলা করতে গেলাম, আমি বললাম, জিয়াউর রহমানের নামও থাকতে হবে। কারণ সে-ই আসল খুনি। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছিল যেহেতু সে মৃত, তাকে আসামি করে কোনো লাভ হবে না। তাকে আসামি করা যাবে না। সে সময়কার স্বরাষ্ট্র সচিব রেজাউল হায়াত এটা বলেছিলেন। সে কারণে জিয়ার নামটি দেওয়া হয়নি। যেহেতু মৃত ব্যক্তির বিচার হয় না, তাই দিয়ে লাভ নেই। কিন্তু যখন প্রসিডিংস শুরু হয়, সাক্ষী হয়, তখন কিন্তু এটা স্পষ্ট জিয়াউর রহমান এ হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।’ তিনি আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর বাংলাদেশ এমন একটি পর্যায়ে চলে যায় যেখানে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পরিচয় দিতে সাহস পেত না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। জাতির পিতার হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। পঁচাত্তরের পর এমন একটি বাংলাদেশ, মনে হতো ইএ বাংলাদেশ কি স্বাধীন বাংলাদেশ!’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর জয় বাংলা স্লোগান সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়, নিষিদ্ধ করা হয়। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের কত নেতা-কর্মী এ স্লোগান দিতে গিয়ে জীবন দিয়েছে। এ স্লোগান দিলে নানা ধরনের কথা বলত। অপপ্রচার করত, ঠিক পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ব্যঙ্গ করত। পঁচাত্তরের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেই কাজটি করেছে। স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করতে চেয়েছিল। জয় বাংলা স্লোাগান ধ্বংস করেছিল। জাতির পিতার অবদান অস্বীকার করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল। আজকে সেই ভাষণ আন্তর্জাতিক হ্যারিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা জয় বাংলা স্লোগানের ইতিহাস ও জাতির পিতা কীভাবে ১৯৪৮ সাল থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন তার বিবরণ সংসদে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যেটা মাঠে নেওয়া হবে, সেটা ছাত্রলীগের মাধ্যমে নেওয়া হতো। আসল নিউক্লিয়াস ফর্ম করার জন্য ১৯৬১ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মণিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেখানে আমির হোসেন আমুসহ অনেক নেতা ছিলেন। সঙ্গে অন্যরাও ছিল। কথাগুলো সব সময় তিনি (বঙ্গবন্ধু) মণি ভাইয়ের মাধ্যমে ছাত্রলীগের কাছে পৌঁছাতেন। আমি নিজে এর সাক্ষী।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিরাজুল আলম খানের যে স্লোগান, তার নির্দেশ কিন্তু বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। স্টেজে বসে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন স্লোগান ধর। তারপর সিরাজুল আলম খান স্লোগান ধরেছিল, এটা হলো বাস্তব কথা। ইতিহাস বললে সবটুকু বলা দরকার।’

নিত্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে : প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে টেবিলে উত্থাপিত সরকারি দলের কাজিম উদ্দিন আহমেদের (ময়মনসিংহ-১১) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।’ রজমানে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বছরের শেষ নাগাদ উন্মুক্ত হবে পদ্মা সেতু : নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বয়স্ক নাগরিকদের পেনশনে আইন প্রক্রিয়াধীন : সরকারদলীয় সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের (লক্ষ্মীপুর-২) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে সর্বজনীন পেনশন-সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়ন ও ওই আইনের আওতায় একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

২৯ কোটি ৬৪ লাখ ডোজ করোনার টিকা : নোয়াখালী-২ আসনের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে কভিড টিকা প্রদানে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৪ হাজার ১২০ ডোজ টিকা সংগ্রহ করেছে। এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১১ কোটি ৪২ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ- মোট ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৪ জনকে দুই ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ১ কোটি ৮১ হাজার ১৯৩ জনকে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশ সতর্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীদলীয় উপনেতা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার বিষয়টি নিয়ে, এটা বাস্তব। তবে আমরা সরকার গঠন করার পর থেকে এ পর্যন্ত উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত ঋণ নিয়েছি তা সময়মতো পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ কোনো দিন ঋণ পরিশোধে ডিফল্টার হয়নি, হবেও না। সেদিক থেকে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি অনেক মজবুত। সেটা আমি বলে রাখতে চাই। আমরা অত্যন্ত সতর্ক।

গতকাল একাদশ সংসদের সপ্তদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে সংসদে সমাপনী ভাষণ দেন বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর স্পিকার চলতি অধিবেশনের সমাপ্তি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান।

প্রধানমন্ত্রী তার সমাপনী বক্তব্যে দ্রব্যমূল্য, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, উন্নয়নের ভোগান্তি ও যানজট প্রসঙ্গেও আলোকপাত করেন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদ আছে বলেই রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আছে। ভারসাম্য আছে। এটা হলো বাস্তবতা। এখন এটাও দেওয়া হয়েছে, অবৈধভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করে তাদের ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট পর্যন্ত হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য হলো যার সংবিধান স্থগিত করে ক্ষমতায় এসেছিল তার থেকে আজকে আমাদের সংবিধান শিখতে হচ্ছে। সংবিধানের ব্যাখ্যা শুনতে হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যসহ জাতীয় জীবনের নানা সমস্যা নিয়ে জি এম কাদেরের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে জিনিসের দাম বেড়েছে। রড-সিমেন্ট প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটা কেবল আমাদের দেশে নয়, সব দেশে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য আমেরিকার অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক ডলারের তেল চার ডলার হয়ে গেছে। কোনো কিছুর দাম বাড়লে তার সঙ্গে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে নিতে হয়। না হলে আমাদের কাজ সম্পন্ন হবে না। তিনি বলেন, মোটা চালের দাম এখন ৪৬ টাকার মতো আছে। সেটা খুব বেশি বাড়েনি। চিকন ও মাঝারি চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। আলু পাইকারি বাজারে ২০ টাকা খুচরা বাজারে ২৫ টাকা। পিঁয়াজের দামের জন্য এখন কৃষক হাহাকার করছে। বেগুনের দাম ১১০ টাকার ওপরে চলে গেল। সেটা এখন কমে আশি টাকায় এসেছে। তা বেগুন দিয়ে বেগুনি না খেয়ে আরও যেসব সবজি সহজলভ্য আছে সেটা দিয়ে খেলেই হয়। আমরা তো তাই খাই। বেগুনি না বানিয়ে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে খুব ভালো বেগুনি বানানো যায়। আমরা এভাবে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। পায়রা পাওয়ার প্লান্ট আট মাস আগে উদ্বোধন করেছি। এতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বেঁচে গেছে। উন্নয়নে জনভোগান্তির অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কার জন্য? উন্নয়ন তো এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষ যাতে চলাচল করতে পারে সে জন্য। আপাতত কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এটা শেষ হওয়ার পর উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে ৬০ হাজার লোক যাতায়াত করতে পারবে। যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতিরিক্ত গাড়ি এখন রাস্তায় চলে। সবাই ট্রাফিক রুল মেনে চললে আর গাড়ি কম বের করলে যানজট তো থাকে না। গাড়িতেও চড়বেন, একেকটি পরিবার দুই-তিনটি গাড়ি বের করবেন, আবার ট্রাফিক জ্যাম হলে গালি দেবেন, এটা তো চলবে না।

নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন প্রণয়নের প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর