সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

কঠিন সমীকরণের ভোট ফ্রান্সে

প্রতিদিন ডেস্ক

ফ্রান্সে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় দ্বিতীয় রাউন্ড ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে রাত ৮টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়) শেষ হয়েছে। বহুল আলোচিত এই নির্বাচনে দুই প্রার্থীর একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, অন্যজন বিরোধী ন্যাশনাল র‌্যালি দলের সদস্য লে পেন। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে ফলাফলের। বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের ভোটের সমীকরণ বেশ জটিল। কোনো প্রার্থীকেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। সূত্র : রয়টার্স।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, যদি ইইউ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থি বর্তমান প্রেসিডেন্টকে পরাজিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নবিরোধী ও উগ্র ডানপন্থি লে পেন নির্বাচিত হন তাহলে তা হবে ফ্রান্সের জন্য ‘রাজনৈতিক ভূমিকম্প’। এদিকে ভোটার জরিপে দেখা গেছে, ম্যাক্রোঁ কিছুটা এগিয়ে আছেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, লে পেন দলের কঠোর নীতি থেকে খানিকটা সরে এসে সুর নরম করলেও তিনি ছিলেন অনেক ভোটারের ‘চোখের কাঁটা’। তারপরও লে পেনের আচমকা বিজয়ের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো প্রার্থীই ব্যাপকভাবে ভোটারদের মন জয় করতে পারেননি। তাই অনেক ভোটার বর্তমান প্রেসিডেন্টের ওপর ক্ষোভ থেকে তার বিরোধী প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে পারেন। লে পেন যদি নির্বাচিত হন তাহলে ঘটনাটিকে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়া বা যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ী হওয়ার মতোই অপ্রত্যাশিত হবে।

এ বিষয়ে ৪৪ বছর বয়সী ম্যাক্রোঁ সতর্ক করে আগেই বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী লে পেন নির্বাচিত হলে দেশে ‘গৃহযুদ্ধ’ বেধে যাবে। কেননা, পেনের নীতির মধ্যে আছে জনসম্মুখে মুসলিম নারীদের হেডস্কার্ফ বা হিজাব নিষিদ্ধ করা। অন্যদিকে জাতিগত বিদ্বেষের অভিযোগ অস্বীকার করে ৫৩ বছর বয়সী লে পেন বলেন, তার মূল লক্ষ্য দেশটির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। নির্বাচিত হলে তিনি ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নীতিমালায় আমূল পরিবর্তন আনবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।

সর্বশেষ খবর