সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ম্যালেরিয়া রোগীর ৭৫ শতাংশই বান্দরবানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১৬ জেলার ৭২টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান- এ তিন পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। ম্যালেরিয়া আক্রান্তের ৭৫ শতাংশ রোগীই বান্দরবানের।

এ পরিস্থিতিতে ‘উদ্ভাবনী কাজে লাগাই ম্যালেরিয়া রোধে জীবন বাচাই’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। এ

স্লোগান বাংলাদেশের জন্য খুবই সময়োপযোগী, কারণ ম্যালেরিয়া নির্মূলে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ব্যবহার করছে দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবারের বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ম্যালেরিয়া কার্যক্রম চলমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার একরামুল হক।

তিনি বলেন, দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৬টি জেলার ৭২টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান- এ তিন পার্বত্য জেলায় ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। এ তিন জেলাকে উচ্চ ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চল বলা হয়। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ রোগী বান্দরবানেই। বান্দরবানের তিন উপজেলা- আলী কদম, থানচী, লামায় রোগী সবচেয়ে বেশি। গত বছর বান্দরবানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ২২৮, ২০২০ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ হাজার ১৬৬ জন।   ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ম্যালেরিয়াজনিত অসুস্থতা শতকরা ৯৪ ভাগ এবং মৃত্যু শতকরা ৯৩ ভাগ কমেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ মোট ম্যালেরিয়া রোগী ছিল ৭ হাজার ২৯৪ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ জন। ম্যালেরিয়া নির্মূলের আওতাধীন ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের আটটি জেলায় মোট ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১০ জন।

সর্বশেষ খবর