শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

শ্রমিকদের ৪০০ কোটি টাকা দিলেন ড. ইউনূস

পরে মামলা প্রত্যাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমের চাকরিচ্যুত ১৭৬ জন শ্রমিককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক কোম্পানি বেঞ্চে এ তথ্য জানান শ্রমিকদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী। একই সঙ্গে ৪০০ কোটি টাকা পাওয়ায় গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকমের অবসায়ন চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে এ আবেদন করা হয়। আবেদনকারীদের আইনজীবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ টেলিকমে কর্মী ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছিল। শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন (বি-২১৯৪) সিবিএর সঙ্গে আলোচনা না করেই এক নোটিশে ৯৯ কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ। গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে এ ছাঁটাই করা হয়। এরপর সে নোটিশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করেন ২৮ জন কর্মী। এ ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে ড. ইউনূসকে তলব করেন হাই কোর্ট। পরে ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল দিয়েছিলেন শ্রমিকদের পুনর্বহালের নির্দেশ। বিভিন্ন সময় মোট ১৭৬ জন শ্রমিক এ রিটে পক্ষভুক্ত হন।

এ ছাড়া গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার শর্ত পালন করেনি। এ ছাড়া শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।

সর্বশেষ খবর