শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

কিছু কর্মকর্তা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কিছু কর্মকর্তা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছেন

আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন তাদের প্রথম ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন’ সফল স্বার্থকভাবে করতে সক্ষম হয়েছে। ইসি সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিয়েছে। আমি সার্বিক সহযোগিতা করেছি। কিন্তু সরকারি কিছু কর্মকর্তা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তারা চক্রান্ত করে আমাকে কুমিল্লা ত্যাগ করাতে চেয়েছিলেন।    যাতে কুমিল্লায় নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়; নির্বাচনে লাশ পড়ে। লাশ পড়লেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেত। আমি যদি কুমিল্লায় না থাকতাম তাহলে লাশ পড়ত। আমি সব কর্মীকে বলেছিলাম তারা যেন ধৈর্য ধরে নির্বাচনে কাজ করে। আমরা ধৈর্য ধরায় কোনো অঘটন ঘটেনি। গতকাল রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনেকে পানি ঘোলা করতে চেয়েছে। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হক সাক্কু অহেতুক তিনটা চিঠি দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনে। চক্রান্ত করে আমার নামে একটা অশালীন চিঠি ইস্যু করা হয়েছিল নির্বাচন কমিশন থেকে। আমি অনেক ধৈর্য ধরেছিলাম। আমি ইসিকে চ্যালেঞ্জ করে রাস্তায় নামতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। যে কারণে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এ নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, এ সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিশেষ মিশন নিয়ে নেমেছিল। তারা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ করাতে চেয়েছিল বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। যারা এ কাজ করেছে তারা হয় স্বাধীনতাবিরোধী লোক নয় তো অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এ কাজ করেছে। এসব কর্মকর্তা সম্পর্কে তদন্ত করতে হবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত ৭-৮ জন কর্মকর্তা নির্বাচন নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছেন। সব কর্মকর্তা এক রকম নন। বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লার পুলিশ সুপার একজন সৎ মানুষ। তাকে নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই। আমি ব্যক্তিগতভাবেও তাকে পছন্দ করি। কিন্তু বাতির নিচেই অন্ধকার থাকে। এমনই একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার। যেখানে নৌকার ব্যাজ পরা লোক পেয়েছেন সেখানেই অকারণে পিটিয়েছেন। নৌকার ব্যাজ ধরে টানাটানি করেছেন। নৌকার কর্মীদের গালিগালাজ করেছেন। আমাদের কর্মীদের পিটিয়ে বেহুঁশ করে দিয়েছেন। তিনি একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। একসময় তার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল। তখন তিনি আমার শরণাপন্ন হয়েছিলেন। বাহার এমপি বলেন, মুুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ বিনা কারণে নৌকার ব্যাজ ছিঁড়তে পারে না। নৌকার কর্মীদের পেটাতে পারে না। নৌকার কর্মীদের গালাগাল করতে পারে না। তার আবারও তদন্ত হওয়া দরকার। নির্বাচনে কয়েকজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমন আচরণ করেছেন যেন আল্লাহর পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা তাদের, সেটাই তারা প্রয়োগ করেছেন আমাদের ওপর। একজন ম্যাজিস্ট্রেট বিনা কারণে নৌকার চিফ এজেন্ট আতিকুল্লাহ খোকনের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। ভোটারদের হয়রানি করেছেন। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ১২ জন লোককে জেল দেওয়া হয়েছে। সবাই নৌকার লোক। নৌকা ছাড়া একজন লোকও নেই। ৪৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট এ কাজ করেন নাই। যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিলেন তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর