শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ হবে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন উন্নত সমৃদ্ধ।

গতকাল বিকালে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইসে দক্ষ স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলব। খেলাধুলা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সবকিছুতে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যাব। এভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, খেলাধুলার উন্নয়নে আটটি বিভাগীয় শহরে বিকেএসপি নির্মাণ করা হবে। সবার জন্য খেলাধুলা, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্যেই আমাদের সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশকে আমরা আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিচ্ছি।

তিনি বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ জন ছেলে ও মেয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। আমি মনে করি, বিশ্বে এমন আর কোনো দেশ নেই যেখানে এত বিপুলসংখ্যক ফুটবলার এ ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর আমাদের প্রচেষ্টা ছিল সন্তানদের ফুটবল, ক্রিকেট এবং অন্যান্য খেলাধুলাকে আরও উৎসাহিত করা। আমাদের শিশুরা যত বেশি খেলাধুলায় নিজেকে নিয়োজিত করবে আমরা তত বেশি সুবিধা পাব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার সবার জন্য খেলাধুলা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। কয়েক দিন আগে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করতে পারেনি। আমি আশা করি, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে এবং তোমাদের (ফুটবলারদের) নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার সরকার খেলাধুলায় মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর আমাদের প্রচেষ্টা ছিল আমাদের সন্তানদের ফুটবল, ক্রিকেট এবং অন্যান্য খেলাধুলাকে আরও উৎসাহিত করা। আমাদের শিশুরা যত বেশি খেলাধুলায় নিজেকে নিয়োজিত করবে আমরা তত বেশি সুবিধা পাব।

খেলাধুলার সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য খেলাধুলা নিশ্চিত করা। তোমরাই হবে আমার সেই গোল্ডেন বয়, আমরাও বিশ্বকাপ জয় করব। খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা হয়, মন ভালো থাকে, অন্যদিকেও আর মনোযোগ থাকবে না। খেলাধুলা যত বেশি চর্চা করা যাবে তত বেশি উৎকর্ষ সাধন হবে। খেলোয়াড়দের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমি বলব খুব আন্তরিকতার সঙ্গে খেলতে হবে। আমি তোমাদের খেলা দেখলাম, খুবই ভালো লাগল। কিন্তু আগামীতে আরও ভালোভাবে তোমরা খেলবে। আরও বেশি ছেলেমেয়ে খেলাধুলায় যোগ দেবে- সেটাই আমি আশা করি।

এ বছর ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২’- এই দুটি টুর্নামেন্টে উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায় থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছে জানান সরকারপ্রধান।

এত বিপুলসংখ্যক খেলোয়াড় টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া বিষয়ে তিনি বলেন, অদ্ভুত একটা ঘটনা। বোধহয় পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো দেশে এরকম ঘটনা নেই। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকাকে নিয়ে বিকেএসপিতে তিন মাসের জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, বিদেশে পাঠিয়েও আমরা ট্রেনিং করাব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হয় সিলেট বিভাগ এবং রানার্সআপ হয় বরিশাল বিভাগ। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর বিভাগ এবং রানার্সআপ হয় খুলনা বিভাগ।

সর্বশেষ খবর