পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, থানা হবে জনগণের সেবা প্রাপ্তির ভরসাস্থল। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের পেশাগত উৎকর্ষতা দিন দিন বাড়ছে। পুলিশের প্রতি জনগণের প্রত্যাশাও বেড়েছে। থানাকে সার্ভিস ডেলিভারির কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে থানার সার্ভিস ডেলিভারির গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে। গতকাল রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন, বিভিন্ন সফলতার মাধ্যমে আমরা মানুষের আকাক্সক্ষা বৃদ্ধি করেছি। থানা থেকেও একইভাবে সেবা দিয়ে পুলিশ সম্পর্কে মানুষ যে ধারণা করে, যে আশা-আকাক্সক্ষার ভরসার জায়গা সেটা ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চান আশা করব সেই লক্ষ্যে পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় মাদক ও সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান হবে না। আমাদের বাহিনীর সদস্যরা প্রযুক্তিনির্ভর জনবান্ধব, সেবাবন্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করছে। আমাদের পেশাগত উৎকর্ষতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশের নিয়োগ, পদায়ন ও পদোন্নতির স্বচ্ছতা আজ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং সব সংস্থা ও সংগঠন আমাদের এসব কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে। সর্বক্ষেত্রে আমাদের এই স্বচ্ছতা অব্যাহত রাখতে হবে।
পুলিশপ্রধান আরও বলেন, মাদক ও দুর্নীতি দেশের জন্য নীরব ঘাতক। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে। আমি আশা রাখি আমাদের সব পুলিশ সদস্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদ দমনে যে বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করে আমাদের সেই সাফল্য অর্জন করতে হবে।
আইজিপি বলেন, মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমরা প্রতি মাসে আগের মাসকে ডিঙিয়ে যাচ্ছি। প্রতি বছর মাদক উদ্ধারের টার্গেটকে আগের বছরের থেকে ডিঙিয়ে যাচ্ছি। অস্ত্র, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশ যে বৈশ্বিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে একইভাবে সব ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও জানান আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে বাংলাদেশ পুলিশে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪৫৮ পুলিশ সদস্যকে ‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২২ (আইজি’জ ব্যাজ)’ প্রদান করা হয়। আইজিপি তাদের ব্যাজ পরিয়ে দেন।