‘সব কটা জানালা খুলে দাও না/ আমি গাইবো গাইবো বিজয়েরই গান/ ওরা আসবে চুপি চুপি/ যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ...।’ গতকাল স্বাধীনতার ৫৩তম বছরে বাঙালি জাতি তাদের হৃদয়ের সবকটা জানালা খুলে দিয়েই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে তাদের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের কথা। শপথ নিয়েছে সেই কাক্সিক্ষত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার। যে বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ‘জয় বাংলা’ শব্দের নিনাদ তুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলার সূর্য সন্তানরা। মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান। সাভার স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির সূর্যসন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে ১ মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় তিন বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদ উপনেতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ ছাড়া জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। সকাল ৯টার দিকে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ আইন সমিতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি, নাগরিক ঐক্য, বাসদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স পার্টি, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাসদ (মার্কসবাদী), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গণফোরাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, নাগরিক ঐক্য, ঢাকা জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ, জাকের পার্টি, জাকের পার্টি ছাত্রীফ্রন্ট, জাকের পার্টি যুবফ্রন্ট, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট, পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থা, গণবিশ্ববিদ্যালয়, সজাগ (সমাজ ও জাতি গঠন), জাতীয় শ্রমিক লীগ, জাবি শিক্ষক সমিতি, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল সমিতি, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারকল্যাণ সমিতি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় পার্টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জবি শিক্ষক সমিতি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, এডাব, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, স্বেচ্ছাসেবক দল, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাসদ, ঢাকা জেলা বিএনপি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, সড়ক ও জনপথ প্রকৌশল সমিতি, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন পরিষদ, মৎস্য অধিদফতর, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাপ, ঢাবি ছাত্রলীগ, জাবি ছাত্রলীগ, জাবি সাংবাদিক সমিতি, কর্মসংস্থান ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংগঠন।
টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা : গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সমাধি সৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ আবুল বশার খায়ের, সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাসসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।ধানমন্ডিতে মানুষের ঢল : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ভোরের আলো ফোটার আগেই অগণিত মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ৩২ নম্বর সড়ক। সবার হাতে ছিল ফুল। তারা শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করেন ভবনের আশপাশের রাস্তায়। নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছিল এ সারিতে। সকালে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর। এরপর আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। হাজারো মানুষের উপস্থিতির কারণে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর লোকারণ্য হয়ে যায়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, ঘাটশ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ ছাড়া কবি, সাহিত্যিক, বাউলশিল্পী এবং কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবেও ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা : মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মুক্তিযোদ্ধা নেতা কে এম মোজাম্মেল হক ও শফিকুল বাহার মজুমদার টিপুর নেতৃত্বে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সকালে মিরপুর রোড থেকে র্যালি নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে তারা প্রথমে স্যালুট জানান স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতির প্রতি। এরপর পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল মিষ্টি ও ফল পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তাঁর শুভ কামনার স্মারক হিসেবে অতীতের মতো এবারও রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার গজনভী রোডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস)-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু এবং সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। এদিকে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা সভা হয়।