বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

জ্বালানি সংকট ও আমদানি নিয়ন্ত্রণে চাপে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলার সংকটে শিল্পের কাঁচামাল ও জ্বালানি সংকটে দেশের শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে জ্বালানি সংকট ও আমদানি নিয়ন্ত্রণে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিনিময় হারের চাপ বেড়ে যাওয়ায় নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। ফলে এসব দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। তবে এখন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বাংলাদেশ আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বব্যাংক বলছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমে এসেছে। তা সত্ত্বেও এসব দেশ বিদ্যমান খাদ্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে। এ ছাড়া দেশে কর্মসংস্থানের উন্নতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জন্য একটি ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংক বলছে, আইএমএফের এ ঋণ নেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনে ভারসাম্য রক্ষা করা এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া। প্রতিবেদনে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে ৫ দশমিক ২ শতাংশের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে। যদিও সরকার চলতি ও আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।

সর্বশেষ খবর