নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের পৃথক তিন ধারায় আড়াই বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুল হক এ রায় দেন। অন্যদিকে আট বছর আগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে সাত বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন ঢাকার অন্য একটি আদালত। নাশকতা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৭৫ জনের মধ্যে এস এম জাহাঙ্গীরসহ তিনজন কারাগারে আছেন। অন্য দুজন হলেন- দক্ষিণখান থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন ও উত্তরা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম। এদিন রায় উপলক্ষে কারাগারে থাকা জাহাঙ্গীরসহ তিনজনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে অপর ৭২ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তারা সবাই বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের স্থানীয় নেতা-কর্মী। পলাতক আসামিদের মধ্যে কেউ মারা গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাজা কার্যকর হবে না বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে পুলিশ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অন্যদিকে আট বছর আগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে সাত বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন আনোয়ার, হায়দার আলী বাবলা, ইমরান প্রমুখ। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিদের মধ্যে আটজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত। গতকাল ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১০ এর বিচারক মো. মামুনুর রহমান সিদ্দিকী এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ কোতোয়ালি থানার বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হরতাল সফল করতে ককটেল বিস্ফোরণ করে আসামিরা। এতে কামাল হোসেন নামে এক রিকশাচালক গুরুতর আহত হন। যার মাধ্যমে তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাজিম উদ্দীন ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত বিভিন্ন সময় আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
শিরোনাম
- শাটডাউন : যুক্তরাষ্ট্রে এক দিনে ১৪০০ ফ্লাইট বাতিল
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
- ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ জয় বাংলাদেশের
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ নভেম্বর)
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
দুই মামলায় বিএনপির ৮৭ নেতা-কর্মীর জেল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর