চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা পুলিশ। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে চট্টগ্রাম প্রতিবেদক জানান, গ্রেপ্তারের পর চন্দনকে সিএমপির কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়। চট্টগ্রাম বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টির মৃত ধারীর ছেলে চন্দন। চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে।
পুলিশ জানায়, ট্রেন থেকে নেমে ভৈরবের মেথরপট্টিতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল চন্দনের। তিনি মামলার ১ নম্বর আসামি। ওসি মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘ঘটনার পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি দুই দিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। এ খবর জানানো হলে আমরা সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’ চট্টগ্রাম থেকে গতকাল সন্ধ্যায় রিপন দাস (২৭) নামে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে রঙ্গম কমিউনিটি হলের সামনে আলিফকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আলিফের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।