ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং-তিন বিভাগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজে শুরুতে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায় পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা না থাকায়। সিরিজ হেরে রাতের শিশিরকে দুষছিলেন টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। ভেজা বল গ্রিপ করতে কষ্ট হয় বোলারদের। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষেও লিটন বাহিনী ৩ ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলবে। সব খেলাই হবে ফ্লাড লাইটে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ আজ।
পাকিস্তানে এখন শুষ্ক মৌসুম। পিএসএলের ফাইনালে শিশির খুব একটা সমস্যায় ফেলেনি ক্রিকেটারদের। তারপরও ভেজা বলে বোলিং করতে যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য গত দুই দিন টাইগার বোলাররা ভেজা বলে বোলিং করেছেন। আজ রাত ৯টায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে লিটন দাসের বাংলাদেশ ও সালমান আগার পাকিস্তান। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ মে ও ১ জুন। পিএসএল শেষ করা পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে লিটনদের। তারপরও টাইগার কোচ ফিল সিমন্স আশা করছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের। তিনি বলেন, ‘আমিরাতের বিপক্ষে হার দলকে চাঙা করে তুলবে। সিরিজ হারলেও দলের মনোবল দুর্দান্ত। খুব ভালো মানসিকতায় আছে ক্রিকেটাররা। আমি মনে করি, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের দারুণ সুযোগ আছে। অনেকেই বলছে, পাকিস্তান খুব ভালো ফর্মে নেই। তবে ব্যাপারটি হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে কী হয়। আমাদের ভালো সুযোগ আছে সিরিজ জয়ের।’
দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়ালে আশঙ্কার বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-২০ সিরিজের ভবিষ্যৎ। যুদ্ধ থামলে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও পিসিবি সভাপতি মহসিন রাজা নাকভি আলাপ-আলোচনা করে ৫ ম্যাচের সিরিজ ৩ ম্যাচে নির্ধারিত করেন। সিরিজটি খেলতে দুবাইয়ে দুই দিন অনুশীলন করেন লিটনরা। এরপর তিন ধাপে লাহোর পৌঁছান। সেখানে দুই দিন অনুশীলন করেন। সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার। কিন্তু ইনজুরির জন্য দুজনই ছিটকে পড়েন সিরিজ থেকে। দুজনের বদলি ক্রিকেটারও পাঠিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্ট। মুস্তাফিজের জায়গায় নেওয়া হয়েছে ডান হাতি পেসার খালেদ আহমেদকে। সৌম্য সরকারের জায়গায় নেওয়া হয়েছে স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজকে। সিরিজ শুরুর আগেই নাম প্রত্যাহার করে নেন নাহিদ রানা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশটির মাটিতে এবার নিয়ে তৃতীয়বার সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে প্রথমবার খেলেছিল করাচিতে ১ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। ম্যাচ হেরেছিল ১০২ রানে। ২০২০ সালে লাহোরে খেলেছিল ৩ ম্যাচের সিরিজ। কিন্তু একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে হতে পারেনি। বাকি দুই ম্যাচ হেরেছিল ৫ ও ৯ উইকেটে। দুই দল পরস্পরের বিপক্ষে ১৯ বার খেলেছে। পাকিস্তানের ১৬ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ৩টি।