ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা আনতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। গতকাল বিকালে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন দাবির কথা জানান নারী নেত্রী ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানা।
মাহীন সুলতানা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কমিশন। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নারীর সংখ্যা কম থাকায় এটি প্রমাণ করে যে সমাজে নারীর নাগরিক মর্যাদা এখনো সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তিনি বলেন, কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় আগামী নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের উৎসাহিত করতে রাজনৈতিক পার্টির সঙ্গে কীভাবে সমন্বয় করা যেতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে নারীদের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং নির্বাচনে নারীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সাইবার সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধের নীতি গ্রহণের প্রয়োজন। এই নেত্রী বলেন, সরাসরি নির্বাচনে সব সাধারণ আসনে ৩৩ শতাংশ নারীর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে উপযুক্তভাবে মার্জিনালাইজড জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য পেশাজীবী নারীদেরও পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
একই দাবি নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরামের : ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি আইন সংস্কারে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেছে নারীর রাজনৈতিক অধিকার ফোরাম। নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়নে বাধ্যবাধকতা আরোপসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে এসব দাবি তুলে ধরেন ফোরামের প্রতিনিধিরা।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানের নেতৃত্বে ফোরামের সদস্য হিসেবে বৈঠকে অংশ নেন নারীপক্ষের নির্বাহী সদস্য সাদাফ সায, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত ও নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীল।
এ সময় চার নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।