শুনানির জন্য আদালতে যেতে হল না ছোট রাজন ওরফে রাজেন্দ্র সদাশিব নিখালজেকে। উল্টে হাকিমই ছুটে চলে এলেন এই ভিভিআইপি আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের কাছে। শনিবার সকালে দিল্লির সিবিআই কার্যালয়ে রাজনের শুনানির জন্য চলে আসেন ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট। তারপর ভুয়া পাসপোর্ট রাখার অভিযোগে রাজনকে ১০ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন হাকিম।
এর আগে, শুক্রবার সকালে ইন্দোনেশিয়া থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয় ছোট রাজনকে। দিল্লিতেই সিবিআই’এর গোয়েন্দারা তাঁকে কয়েক দফা জেরা করেন। এরপর পাসপোর্ট আইনে বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় মুম্বাই পুলিশ এবং দাউদের জোগসাজশ নিয়ে রাজন অনেক তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, দাউদ ইব্রাহিমের কাছ থেকে প্রতি মাসে নিয়মিত রুপি পান সেটা জানিয়েছেন রাজন। কারণ দাউদ সম্পর্কে সব তথ্য সংগ্রহ করতে এখন ছোট রাজনই প্রধান ভরসা ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে। পাঁচ দিনের সিবিআই হেফাজতে এবার রাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কী কী তথ্য উঠে আসে সেটাই এখন দেখার।
এদিকে ছোট রাজনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তার একটি ডামিও তৈরি হয়েছে। রাজন নামে ওই ব্যক্তির পোশাক, আচার-ব্যাবহার সবকিছুই ছোট রাজনের মতোই হবে। ছোট রাজনের কাছাকাছিই থাকবে ওই ডামিটি। তাছাড়াও প্রায় ২৫ জনের সশস্ত্র কমান্ডো সবসময় রাজননের সঙ্গেই থাকবে বলেও জানা গেছে। সিবিআই কার্যালয়ের সামনের রাস্তাগুলোতেও চলাফেলার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর অষ্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে বিমানে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে নামতেই গ্রেফতার করা হয় মুম্বাইয়ের নাগরিক ছোট রাজনকে (৫৫)। ইন্টাপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত রাজনের বিরুদ্ধে খুন, রাহাজানি, বেআইনি অস্ত্র মজুদ রাখা ও তা ব্যাবহার সম্পর্কিত অন্তত ৭৫টি মামলা রয়েছে। ১৯৯৩ সালের মুম্বাইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল চক্রী দাউদের পাশাপাশি ছোট রাজনও অভিযুক্ত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব