ইঙ্গিত আগেই ছিল, কার্যক্ষেত্রে হলোও তাই। অসহিষ্ণুতা ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠল ভারতের সংসদ। কংগ্রেসের সঙ্গে বামেরাও কোমর বেঁধে নেমে পড়ে একেবারে কোণঠাসা করে দিল বিজেপিকে। সোমবার লোকসভার অধিবেশন শুরুর কিছু পরেই সিপিআইএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র পরিণত হয় সংসদ কক্ষ।
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-কে উদ্দেশ্য করে মহম্মদ সেলিম বলে ওঠেন, ‘নরেন্দ্র মোদির জয়ের পর রাজনাথ সিং বলেছিলেন ৮০০ বছরে এই প্রথম কোনো হিন্দু শাসক ক্ষমতায় এলেন...’। সেলিমের সেই দাবিকে খারিজ করে রাজনাথ সিং বলেন, ‘গোটা রাজনৈতিক জীবনে আমি ওই ধরনের কোনো কথা বলেননি। আমার সংসদীয় জীবনে এই প্রথমবার খুব আঘাত পেলাম। এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ। আমি মনে করি কোনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি এই ধরনের মন্তব্য করেন থাকেন তবে তার পদে থাকার কোনো অধিকার নেই’। কিন্তু পাল্টা সেলিমের দাবি রাজনাথ সিং যদি ওই কথা না বলে থাকেন তাহলে ওই পত্রিকাকে আইনি নোটিশ পাঠান। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর সংসদে কাটিয়েছি। কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা আমার লক্ষ্য নয়। সেলিমের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সৌগত রায়ও ওই পত্রিকা অফিসের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর দাবি জানান।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমি কোন সময় ওই ধরনের কথা বলেছি, সেটা সেলিম সাহেব আমাকে জানান। না হলে ওই ধরনের মন্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমতা চাইতে হবে’। এদিকে সিপিএম সাংসদের ওই মন্তব্যের পরই হট্টগোল শুরু করে দেয় বিজেপি। রাজনাথের পাশে দাঁড়িয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব প্রতাপ রুড্ডি দাবি করেন সেলিম সাহেবকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। এদিকে মহম্মদ সেলিমও ছেড়ে কথার বলার নয়। একসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সেলিমের বক্তব্য, ‘আব ক্যায়া সুলি পর চড়াওগে? ফানসি দোগে (এবার কি তাহলে আমাকে ফাঁসিতে ঝোলাবেন?)। শেষে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবী করে দিতে বাধ্য হন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা
