রাশিয়া ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে অবৈধ তেল বাণিজ্যে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়্যব এরদোগান। তিনি বলেন, আইএসের সঙ্গে রাশিয়া যে তেল বাণিজ্যে জড়িত, এ বিষয়ে আঙ্কারার কাছে তথ্য আছে।
জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে বর্তমানে প্যারিয়ে অবস্থান করছেন এরদোগান। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমনই পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি।
এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর তুরস্কের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই দিন মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আইএসের সঙ্গে তুরস্কের তেল সরবরাহ ব্যবস্থার সুরক্ষিত করতেই আমাদের প্লেন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়ার কাছে তথ্য রয়েছে।’
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ১ ডিসেম্বর এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্টকে উল্টো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি খুব শক্ত কিছু কথা বলতে চাই। যদি রুশ প্রেসিডেন্টের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে আমি পদত্যাগ করবো। আমি পুতিনকে বলছি, অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আপনি কি পদত্যাগ করবেন? আমি আমারটা পরিষ্কারভাবে বলে দিলাম।’
এরপর গতকাল বুধবার আবারও রাশিয়ার পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, কেবল তুরস্ক সরকার নয়, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারও আইএসের সঙ্গে তেল বাণিজ্যে জড়িত।
রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আনাতোলি আন্তোনভ মস্কোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘সিরিয়া ও ইরাক থেকে খোয়া যাওয়া তেলের প্রধান ভোক্তা তুরস্ক। আমাদের কাছে তথ্য আছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও তার পরিবার এই ‘অপরাধ ব্যবসা’র সঙ্গে জড়িত। বুধবার এমন অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার এ পাল্টা তীর ছুঁড়লেন এরদোগান।
গত ২৪ নভেম্বর আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সিরিয়া সীমান্তে একটি রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুরস্ক। তবে রাশিয়া এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এ ঘটনার সূত্র ধরে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে দারুণ অবনতি ঘটে এবং তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব