দুনিয়ায় কত রকম বীভৎস ঘটনাই না ঘটে। তেমনি এক বীভৎস ঘটনা ঘটেছে কলোরাডোয়। এক নারীর পেট কেটে তার গর্ভস্থ ভ্রূণকে বের করে হত্যা করলেন আরেক নারী।
এ ঘটনাযর একবছর পর বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভ্রূণ হত্যাকারী ওই নারী। বিচারে তাকে ১০০ বছর জেল দিয়েছে কলোরাডোর বিচারক।
অভিযুক্তের নাম ড্যানিয়েল লেন (৩৫)। এক বছর আগে সেদিন মিশেল উইলকিনস তার বন্ধু লেনের বাড়ি এসেছিলেন গল্প করতে। মিশেল উইলকিনস ঘুণাক্ষরেও জানতেন না, তার জন্য কী অপেক্ষা করছে। কথায় কথায় অনেক দেরি হয়ে গেলে শপিংয়ের জন্য বেরোতে যান মিশেল উইলকিনস।
ঠিক তখনই তাঁর উপর অতর্কিত আক্রমণ করে লেন। প্রথমে মিশেলের ঘাড়ে একের পর এক আঘার করে তাকে মাটিতে ফেলে দেয় লেন। তারপর তাকে টেনেহিঁচড়ে বেডরুমে নিয়ে গিয়ে মুখে বালিশ চেপে ধরে।
প্রাণপণে লেনকে সরাতে চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন মিশেল। একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। এরপর যখন জ্ঞান ফেরে, তখন তিনি দেখেন পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার শরীর। একটা ঘরের মধ্যে তাকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কোন রকমে ফোন হাতে নিয়ে পুলিসকে ফোন করেন মিশেল।
অন্যদিকে, অজ্ঞান হতেই পেট কেটে মিশেলের গর্ভস্থ কন্যাভ্রূণ অরোরাকে বের করে নেয় ড্যানিয়েল। তারপর তাকে বাথরুমের বাথটাবে ফেলে হত্যা করে লেন। পরে হাসপাতালে গিয়ে তাকে নিজের বাচ্চা বলে দাবি করে লেন।
বিডি-প্রতিদিন/০২ মে, ২০১৬/ হিমেল-০২