জিকা ভাইরাসের সাথে যৌন সম্পর্ক ও গর্ভধারণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া আগের নির্দেশনাটি পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ৮ সপ্তাহ বলা হলেও এবার জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন দেশ ভ্রমণ করে আসা ব্যক্তিদেরকে ৬ মাস অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একই সঙ্গে নির্ধারিত এই সময়ে গর্ভধারণ না করার কথাও বলেছে সংস্থাটি। প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন দেশ থেকে ফিরে আসার পর জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত নন এমন সব ব্যক্তিকে এই নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। খবর বিবিসির।
টরেন্টো জেনারেল হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ আইজ্যাক বোগশ সম্প্রতি জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ কীভাবে হয় তা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তার মতে, "সাধারণ হিসেবে এটি মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং আসল প্রতিরোধই হলো মশার কামড় এড়িয়ে চলা এবং এর বিস্তার রোধ করা। কিন্তু এটাও ঠিক যে রোগটি যৌনবাহিত রোগের মধ্যেও পড়ে। তাই এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটা নিশ্চিত করা যে, প্রাদুর্ভাব রয়েছে সেই সব দেশে যারা গর্ভধারণ করতে চায় তাদের তা থেকে বিরত থাকতে হবে"
ব্রাজিলে সম্প্রতি এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের পর রোগটি গুরুত্ব পেতে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যৌন মিলনের মাধ্যমে জিকা ছড়ানোর প্রমাণ দিন দিন বাড়ছে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী অন্তত ১১টি দেশে অনিরাপদ যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর ৬০টিরও বেশি দেশ ও আশেপাশের অঞ্চলে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে ১৯ জন বাংলাদেশি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সে দেশে বাংলাদেশি হাইকমিশন। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিকৃত ও ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু। এসব শিশুর বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি কম হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জিকার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি হওয়া এবং সন্ধিস্থলে ও মাংসপেশিতে ব্যথা।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব