সরকারি নীতি অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলা মানেই দেশদ্রোহিতা নয়। এজন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায় না। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। দেশদ্রোহিতা নিয়ে সম্প্রতি ভারতজুড়ে ঝড় ওঠে। দেশদ্রোহিতা আইনে একের পর এক মামলাও হয়েছে।
এবার বিভিন্ন মহল থেকে এই আইন বাতিলের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এ নিয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার মতে, ১৯৬২-র দেশদ্রোহিতা আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে। বহু পুলিশকর্মী তো দেশদ্রোহিতার অর্থও বোঝেন না। এই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এই ব্যাখ্যা নিঃসন্দেহে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্র ও বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সর্বোচ্চ আদালতের আজকের ব্যাখ্যার ফলে দেশদ্রোহিতা নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটবে। ১৯৬২ সালে কেদারনাথ সিংহ বনাম বিহার সরকার মামলায় দেশদ্রোহিতা আইনের ব্যাখ্যা করা হয়েছিল। এ দিন সেই মামলার প্রসঙ্গ তুলে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, দেশদ্রোহিতা নিয়ে সেই ব্যাখ্যা ৫৪ বছর পরে আজও সমান প্রাসঙ্গিক। তার জন্য নয়া ধারা যোগ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪-এ ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, সরকারি নীতি ও সরকারের সমালোচনা বা বিরোধিতা করার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে। অবশ্যই এর জন্য কোনো রকম প্ররোচনা বা হিংসার আশ্রয় নিয়ে জনসম্পত্তির ক্ষতি করা বা শান্তি বিঘ্নিত করার অভিপ্রায় থাকবে না সেই নাগরিকের। সূত্র : আনন্দবাজার
বিডি-প্রতিদিন/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা