ভারতের মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন সিমির জেল পালানো আট সদস্য পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দেশটির মানবাধিকার কর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষাবিদরা। তাঁরা সাম্প্রতিক সময়ের এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন। এই এনকাউন্টার ছিল পুরোপুরি একটি সাজানো ঘটনা। এক সংবাদ বিবৃতিতে এমনটি দাবি করেছেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। খবর বিবিসির।
জানা যায়, ভারতের ভোপাল শহরের উপকণ্ঠে একটি পাহাড়ি গ্রামে গত সোমবার আটজন সিমি সদস্য পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। আর এখন সেই জায়গাটিই ট্যুরিস্ট স্পটে পরিণত হয়েছে! ঘটনাস্থলের আশেপাশে বহু সাক্ষ্যপ্রমাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রাখেনি। তাছাড়া প্রতিদিন এনকাউন্টার স্পটটি দেখার জন্য বহু মানুষের ঢল নেমেছে সেখানে। তাই ঘটনাটি আদৌ সত্যিকারের এনকাউন্টার ছিলো কী-না, তা নিয়ে দিন দিন বিতর্ক আরো বাড়ছে।
এদিকে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার জানিয়েছে, যারা এই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তারা নিহত কারারক্ষীর দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকে অপমান করছেন। এই ধরনের প্রশ্ন তোলা বিভিন্ন জঘন্য অপরাধে অভিযুক্ত সিমির সদস্যদের সমর্থন করারই সামিল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার