সম্প্রতি মার্কিন সাহায্যপুষ্ট ইরাকি বাহিনী মসুলের শহরতলিতে প্রবেশ করে ঘিরে ফেলেছে টাইগ্রিসের তীরবর্তী বিশাল শহরটিকে। আর এদিকে আইএসের পক্ষ থেকে ইরাকি বাহিনীর হাত থেকে দুর্গটি রক্ষায় তীব্র প্রতিরোধেও খবর আসছে। ফলে মসুলকে ঘিরে শুরু হয়েছে দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জানা যায়, গত সোমবার ভোরে এক বিধ্বংসী আক্রমণে ইরাকি বাহিনী কাউন্টার-টেররিজম সার্ভিস আইএসের হাত থেকে বাজওয়াইয়া গ্রাম দখলে নিয়েছে। মসুলের পূর্ব শহরতলিতে পৌঁনোর আগে সেটিই শেষ গ্রাম। তারপর গত মঙ্গলবারের মধ্যে মসুল শহরের পূর্ব প্রান্তে কুকজালি শিল্পাঞ্চলও কাউন্টার-টেররিজম সার্ভিস (সিটিএস) বাহিনীর দখলে চলে এসেছে। ফলে কুকজালিতে অবস্থিত মসুলের টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ এখন সরকারের হাতেই ফিরে এসেছে।
তবে ইরাকি বাহিনী জানতে পেরেছে, এই মুহূর্তে মসুলে ৩০০০-৫০০০ আইএস যোদ্ধা রয়েছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আইএসের এই বাহিনীর মোকাবিলায় ৫০ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনী মসুলে পাঠিয়েছে। আইএস প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদিকেও ঘিরে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হায়দর আল-আবাদি বলেছেন, একজন সন্ত্রাসবাদীকেও পালাতে দেওয়া হবে না। হয় তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হলে মরতে হবে।
উল্লেখ্য, ইরাকে মসুলই হলো আইএসের শেষ বড় ঘাঁটি। ২০১৪ সালের জুন মাসে মসুলের দখল নিয়েছিল আবু বকর আল-বাগদাদির বাহিনী। আইএসের দাপটে ইরাকের বিস্তীর্ণ অংশে সে সময় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ইরাকের সরকারি বাহিনী। দেশের বিরাট এলাকা আইএসের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তারপর থেকে মার্কিন বাহিনীর সাহায্য নিয়ে যৌথ ভাবে আইএস-বিরোধী অভিযান তীব্র করতে শুরু করে ইরাকের সরকারি বাহিনী। সেই সামরিক জোটে যোগ দেয় কুর্দিশদের নিজস্ব বাহিনী, সুন্নি-আরব উপজাতির বাহিনী এবং শিয়া মিলিশিয়া বাহিনী। আমেরিকার সহায়তায় পুষ্ট এই বিরাট সামরিক জোটের সামনে অনেক দিন ধরেই পিছু হঠছে আইএস।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার