গত ৮ নভেম্বর ভারত জুড়ে বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট ব্যবহারের সময়সীমা আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়িয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজে কোথায় কোথায় এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। অন্যদিকে ভারতে হু হু করে বাড়ছে সোনার দাম।
ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি উল্লেখ করেছেন, আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন নোট প্রচলনে ব্যাংক প্রস্তুত থাকলেও এটিএম মেশিনগুলো ‘রিক্যালিব্রেট’ করতে কিছু সময় প্রয়োজন। কারণ এক হাজার মানের আর কোনো নোট থাকছে না, অন্যদিকে নতুন করে দুই হাজার রুপির নোট প্রচলন করা হচ্ছে। হঠাৎ বড় দুটি নোট নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন ভারতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। অনেক পরিবার দূর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। হাসপাতালে তিন দিনের জন্য এই নোট সচল থকলেও তারা খাবার ক্রয় করতে এসে বিপাকে পড়ছেন। জরুরি পরিসেবা যেমন হাসপাতাল, ট্রেন বা বিমানের টিকিট, তেলের পাম্পসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কয়েকদিন ৫শ ও এক হাজার রুপির নোট চলছে।
এদিকে ৫০০ ও ১ হাজার রুপির নোট বাতিল করার পর বাড়ছে সোনার দাম। দেশটিতে সোনার দাম ২১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঠেকেছে। ১০ গ্রাম সোনার বার ৩০ হাজার রুপি থেকে বেড়ে ৫০ হাজার রুপিতে বিক্রয় হয়েছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় গত এক বছর ধরে ভারতে ডিসকাউন্টে সোনা বিক্রি হতো।
কিন্তু গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বড় দুই নোট বাতিল করার পর নগদ অর্থ সম্পদে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংক হিসাবের বাইরে থাকা রুপি নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন, তাই অন্য কোনো উপায়ে মূল্যবান ধাতু কিম্বা মূল্যবান বস্তু কিনে রাখার প্রবণতা বেড়েছে। অন্যদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয় সোনা ব্যবসায়ীদের বিস্তারিত বিবরণ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
প্রায় ৬০০-র বেশি গয়নার দোকানে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ভোপাল, বিজয়ওয়াড়া, নাসিক, লখনউয়ে বড় গয়নার দোকানগুলিকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। ধীরে ধীরে অন্য শহরগুলোতেও এই নোটিস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৩ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-০৬