নীচুজাত, তাই মেয়েকে স্কুলে ভর্তি নিতে অস্বীকার করছে কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ আনলেন এক ছাত্রীর বাবা। হাওড়া জেলার বাউরিয়া গার্লস হাইস্কুলের ঘটনা এটি। ওই ছাত্রী হাওড়ার বাউরিয়া বউলকখালি এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ওই ছাত্রীর বাবা উত্তম রায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে বাউরিয়া গার্লস স্কুলে পড়ত। ২০১১-১২ সালে ক্লাস এইট পাশ করে সে। সবজি বিক্রেতা হওয়ায় আর্থিক কারণে আর পড়াতে পারেননি মেয়েকে। ইদানিং ব্যবসা করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন কিছুটা। তাই তিনি মেয়েকে আবার স্কুলে ভর্তি করাতে যান।
অভিযোগ, স্কুলে ভর্তির কথা বলতে যাওয়ায় তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ সাথী দে জানান, তাঁকে ভর্তি নেওয়া হবে না। কারণ হিসেবে বলা হয় তাঁরা নীচুজাত। বরং তাঁর বিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বাবাকে। এরপর ওই ছাত্রীর বাবা দ্বারস্থ হন স্কুল সভাপতি নির্মল যাদবের। কিন্তু তিনিও সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ। এরপরই নির্মল যাদব ও সাথীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয় বাউরিয়া থানা, পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে। অভিযোগ দায়ের করলেও প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলে জানান তিনি। উত্তম রায়ের দাবি, যদি প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টিচার-ইন-চার্জ সাথী দে জানান, জাত তুলে কথা বলার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। ওই অভিভাবক মেয়েকে এনেছিলেন স্কুলে ভর্তির জন্য। তাঁকে সঠিক পদ্ধতি মেনে ভর্তির আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু তা তিনি করেননি। সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। পাশাপাশি, স্কুলের সভাপতি নির্মল যাদবও উত্তম রায়ের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তিনি বলেন, জাতপাত নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/২২ এপ্রিল, ২০১৭/ওয়াসিফ