অভিসংশন প্রস্তাবের মুখে নেপালের প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি বরখাস্ত হয়েছেন। তিনি দেশটির প্রথম নারী বিচারপতি ছিলেন। নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, অভিশংসন কমিটি গঠন এবং তদন্ত কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রধান বিচারপতি বরখাস্ত হয়ে যান।
পক্ষপাতদুষ্ট রায় দেওয়া এবং নির্বাহী বিভাগের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দুই শরিক দল সুশীলা কারকির বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব দাখিল করে। এরপর একটি অভিশংসন কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হওয়ায় তিনি বরখাস্ত হন।
কারকির অভিসংশন প্রস্তাবে অন্তত ২৪৯ এমপি স্বাক্ষর করেছেন। অভিশংসন তদন্ত শুরুর জন্য এর এক-চতুর্থাংশ স্বাক্ষরই যথেষ্ট ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সম্প্রতি পুলিশ প্রধান হিসেবে নেপাল সরকারের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর থেকে প্রধান বিচারপতি সুশীলা ও সরকারের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। র্যাঙ্কিংয়ে নেপাল পুলিশের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নভরাজ সিলওয়ালকে বাদ দিয়ে পুলিশ প্রধান পদে জয় বাহাদুর চাঁদকে বাছাই করে দেশটির সরকার। তাকে বাদ দিয়ে তার চেয়ে জুনিয়র একজনকে পুলিশ প্রধান পদে বেছে নেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হন নভরাজ। গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট নভরাজের পক্ষে রায় দেয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২ মে সরকারের পছন্দের দ্বিতীয় প্রার্থী প্রকাশ আরিয়ালকে নিয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। এখন পার্লামেন্টের ভোটে সুশীলার ভাগ্য নির্ধারিত হবে। তাকে অভিশংসনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন পড়বে।
২০১৬ সালে এপ্রিলে ৬৪ বছরের সুশীলা প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এবছর জুনে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল।
সূত্র: বিবিসি ও লাইভ মিন্ট
বিডি প্রতিদিন/ ১ মে, ২০১৭/ ই জাহান