গুরুতর অসুস্থ দাউদ ইব্রাহিম! এ খবরে তোলপাড় দিল্লি। এমনকি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের মূল চক্রান্তকারী দাউদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে করাচির আগা খান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু দাউদের ডান হাত ছোটা শকিল করাচি থেকে দাবি করেছেন, ‘ভাই সুস্থ এবং বহাল তবিয়াতেই আছেন।’
ভারতের গোয়েন্দারাও বলছেন, দাউদ গুরুতর অসুস্থ—এমন খবর তাদের কাছেও নেই। তবে অতীতে হওয়া স্ট্রোক ও গ্যাংগ্রিনজনিত অসুস্থতার জন্য মাঝে মধ্যেই পরীক্ষা করাতে হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। গোয়েন্দাদের দাবি, দশ দিন আগেই করাচিতে বেয়াই জাভেদ মিয়াদাদের দেওয়া পার্টিতে ছিলেন দাউদ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের গোয়েন্দা সংস্থাই নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মাঝে মধ্যে দাউদ সংক্রান্ত খবর ছড়ায়। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই দাউদকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ফেরত চাইছে।
যদিও শুরু থেকেই ইসলামাবাদ কর্তৃপক্ষের দাবি, দাউদ সে দেশে নেই। দাউদকে ফেরানোর প্রশ্নে বাজপায়ীর আমলে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন লালকৃষ্ণ আদভানি। পারভেজ মোশাররফের ভারত সফরের সময়েও তিনি দাউদকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
আদভানির কথা শুনে ক্ষিপ্ত মোশাররফ বলেছিলেন ‘দাউদ পাকিস্তানে নেই।’ বৈঠক শেষে আদভানি তৎকালীন গোয়েন্দা-প্রধানের কাছে দাউদের সর্বশেষ অবস্থান জানতে চাইলে দেখা যায়, মোশাররফের ভারত সফরের আগেই দুবাই উড়ে গিয়েছেন দাউদ।
অনেকের অভিযোগ, পাকিস্তানের পাশাপাশি দাউদকে ফিরিয়ে না আনার প্রশ্নে এ দেশের নেতাদের ভূমিকাও কম নয়। নব্বইয়ের দশকে একাধিক নেতার টাকা দাউদের ব্যবসায়ে খাটার প্রমাণও রয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। এত বছর পরও, দাউদকে পাকিস্তানে রেখে দেওয়ার পক্ষে নেতাদের চাপ একই ভাবে রয়ে গেছে বলেই মত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের একাংশের।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/ ১ মে, ২০১৭/ ই জাহান