কোনও অতর্কিত হামলা নয়! একেবারে হিসাব কষেই ভারতীয় সেনার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্স। কীভাবে সেনাবাহিনীর নজর এড়িতে চালাবে তারা, তা ঠিক করতে দিনের পর দিন রেইকি চালায় পাকিস্তান। আর সেই অনুযায়ী সোমবার একেবারে গোপনে নজর এড়িয়ে ভারতীয় এলাকার ২৫০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়ছিল পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্সের একটা দল।
পুরোটাই ছিল পাকিস্তানের সাজানো। স্পেশাল ফোর্সের দল ঢুকবে ভারতে! সকাল থেকে তাদের কভার ফায়ারিং দিতে শুরু করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স। ভারতীয় সেনা ভাবে যে পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। সেই অনুযায়ী পাল্টা জবাব দিতে শুরু করে সেনাও। আর এভাবেই ভারতীয় সেনাকে অন্য পথে চালানো করে পাকিস্তান। আর সেই সুযোগে ভারতে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্সের একটা দল। আর সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে তারা।
ভারতীয় টহল দল আসার অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ ঘাপটি মেরে বসেছিল তারা। শেষ পর্যন্ত হামলা চালিয়ে দুই জওয়ানের মাথা কেটে হত্যা করে তারা। ভারতীয় সেনার এক পদস্থ কর্মকর্তা এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন। তার দাবি, পাক সেনা যে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক এই হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট। তাদের বর্ডার অ্যাকশন টিমকে (বিএটি) ভারতীয় এলাকার ২৫০ মিটার ভেতরে তারা পাঠিয়েছিল বলে মত তার।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, ভারতীয় সেনার দল ছিল পাক দলের নিশানা। ওই দলে ৭/৮ জন ছিলেন। তারা একটি পোস্ট থেকে এমনটি করছে। ওই পোস্টে তখন নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে গুলি চলছিল। তাই কভারের জন্য যখন টহল দলের জওয়ানরা ছুটছিলেন তখন দুইজন পিছনে পড়ে যান। ওই দুজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক বর্ডার অ্যাকশন টিমের সদস্যরা।
বিএসএফের ২০০তম ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর ও সেনার ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিত সিংহ মারা যায়। তাদের শিরচ্ছেদ করে পাক হানাদাররা।
পাক সেনার স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপদের নিয়ে বিএটি গঠিত। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে হামলা চালানোই কাজ বিএটি-র। চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় বাহিনীকে ব্যস্ত রাখাই এদের একমাত্র কাজ। অতীতেও একাধিকবার একই ধরনের হামলা চালিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের শিরচ্ছেদের মতো জঘন্য কাজ করেছে এই বিএটি।
সূত্র : কলকাতা২৪.কম
বিডি প্রতিদিন/ ০২ মে ২০১৭/আরাফাত