২ ভারতীয় সেনার অঙ্গচ্ছেদের বদলার দাবিতে ফুঁসছে গোটা ভারতবাসী। এর বদলা হিসাবে ৫০ পাকিস্তানি সেনার হত্যার দাবি তুললেন শহীদ সেনা প্রেম সাগরের মেয়ে সরোজ।
তিনি জানান ‘যে ২ ভারতীয় সেনাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার পরিবর্তে ৫০ জন পাক সেনার মৃত্যু চাই।
প্রেম সাগরের ভাই দয়া শঙ্কর প্রসাদ জানান পাক সেনা যেভাবে ভারতীয় সেনাদের অঙ্গচ্ছেদ করে হত্যা করছে, এবার তার বদলা নেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
গতকালই পাক হামলায় নিহত হয় বিএসএফ-এর ২০০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর এবং শিখ রেজিমেন্টের সদস্য পরমজিৎ সিং-কে। অভিযোগ সীমান্ত লাগোয়া কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণ ঘাঁটি সেক্টরে ঢুকে ওই ২ সেনা জওয়ানকে হত্যা করে পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম (ব্যাট)। শুধু তাই নয়, নিহত ২ সেনার অঙ্গচ্ছেদও করে পাকিস্তানি সেনা। পাক সেনার এই বর্বরোচিত আচরণের পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁঁসছে গোটা ভারত।
সীমান্ত পেরিয়ে নরেন্দ্র মোদির কাছে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি করছেন দেশের সাবেক সেনা কর্তারা। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার জন্য সেনাবাহিনীও তৈরি। সেনা সূত্রে খবর বদলা নিতে ফুঁসছেন সেনারাও। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলেই ওপারে গিয়ে শত্রু ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারে।
মঙ্গলবার সকালেই জম্মুতে সেনা ক্যাম্পের বাইরে এই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই সেনার লাশ বহনকারী হেলিকপ্টারটি যখন জম্মু সেনা ঘাঁটিতে পৌঁছায়, তখন সেখানে পাক সেনার হামলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর সেখান থেকে নিহত জওয়ানের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় লাশ বহনকারী হেলিকপ্টার। দুপুরের দিকে পাঞ্জাবের তরণতারণে নিয়ে যাওয়া হয় নিহত জওয়ান পরমজিৎ সিং’এর লাশ। সেখানে সেনাবাহিনীর তরফে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হয়, শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় বাসিন্দারাও।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হেড কনস্টেবল প্রেম সাগরের লাশ। আজই তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।