বহুল কথিত জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে থাকা মসুল শহরকে আইএস মুক্ত ঘোষণা করেছেন ইররাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। তার দাবি মসুলে আইএসের চূড়ান্ত পতন হয়েছে। আর তাই এই বিজয়ে সেনাবাহিনী ও জনগণকে অভিনন্দন জানাতে মসুলে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে মসুলের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাথে আনন্দমিছিলে যোগ দিয়েছে স্থানীয় জনগণও। মসুলের ঐতিহ্যবাহী মসজিদ আল নুরি ধ্বংসের পর গত মাসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইএসের পতন ঘোষণা করছে। ইরাকি বাহিনীর মতে, তাদেরকে মোকাবেলা করতেই আইএসের জিহাদিরা আল নুরিকে উড়িয়ে দিয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইরাকি বাহিনীর হাজারো সদস্য মসুল উদ্ধারের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। এই লড়াইয়ে সহায়তা করেছে বেসামরিক শিয়া ও সুন্নিপন্থী নাগরিকরাও। এই যুদ্ধের পরিকল্পনা ও সামরিক পরামর্শ প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত একটি সামরিক জোট।
ইরাক সরকার চলতি বছরের জানুয়ারিতে মসুলের স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেও শহরটির পূর্ব অংশের রাস্তাঘাট সংকীর্ণ হওয়ায় সেটি উদ্ধার করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। আইএস নিজেদেরকে রক্ষা করতে এক লাখ মানুষ দিয়ে তৈরি বর্ম ব্যবহার করতে পারে বলে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর গত অক্টোবরে ইরাকের সামরিক বাহিনী জানতে পারে মসুলের বাসিন্দা প্রায় ছয় হাজার যেখানে তাদের ধারণা ছিল তিনশ। ২০১৪ সালে যুদ্ধের সম্ভাবনায় এই শহর থেকে নয় লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
আইএসের তাণ্ডবে মুসলিম দেশগুলোও অনেক চাপে ছিল। এই দলটির মূল ঘাঁটি ছিল সিরিয়ার রাকা এবং ইরাকের মসুল শহরে। ইরাকের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী থেকে আইএসকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার ফলে দলটি এখন অনেক দুর্বল হয়ে পড়বে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স ও আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/১০ জুলাই ২০১৭/ ই-জাহান