সমুদ্র আঁকতে গেলে একটা ঢেউ, একমুঠো বালি আর কয়েকটা লাল কাঁকড়া হলেই যেন চলে যায়, তেমনই মাদার তেরেসাকে আঁকতে হলে খানিকটা সাদা আর নীল রং হলেই হয়। এটা জানতেন ভারতের বিখ্যাত চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেন বা বিকাশ ভট্টাচার্যে। তাই মাদার তেরেসাকে যখনই বিমূর্তি ও মূর্ততায় ধরতে গিয়েছেন তাঁরা, অনিবার্য ভাবে নেমে এসেছে সেই বিশেষ নীল পাড় সাদা জমির শাড়ি।
সম্প্রতি মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সেই বিখ্যাত পোশাকটিকে ভারত সরকারের ‘দ্য ট্রেড মার্কস রেজিস্ট্রি’ ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি’ বলে ঘোষণা করেছে। অ্যাটর্নি বিশ্বজিৎ সরকার এই কথা ভারতীয় সকল সংবাদ সংস্থাকে জানিয়ে বলেন, ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর যখন মাদার তেরেসাকে ভ্যাটিকান থেকে সেন্টহুড প্রদান করা হয়, সেই মুহূর্ত থেকেই এই শাড়ি মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বৌদ্ধিক সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হয়। মিশনারিজ অফ চ্যারিটি কোনও রকম পাবলিসিটিতে বিশ্বাস করে না, তাই এই তথ্য এতদিন জানানো হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে এই নকশার অনৈতিক ব্যবহার এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, এই তথ্য জনসমক্ষে আসা প্রয়োজন বলে তারা বোধ করছেন।
২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মেধাস্বত্ত্বের আবেদন করে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। তিন বছর পরে মাদারের শাড়ি তার মেধাস্বত্ত্ব লাভ করে। এখন থেকে এই নকশার অননুমোদিত সংস্করণ শাস্তিষোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর প্রায় ৪,০০০ এই বিশেষ নীল পাড় সাদা শাড়ি বোনা হয় এবং তা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সন্ন্যাসিনীদের জন্যে পাঠানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ জুলাই, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২০