তালিবানি ফতোয়া উপেক্ষা করে স্কুলে যাওয়ার পথে জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি তরুণী মালালা ইউসুফজাই। এই ঘটনাটিই তাকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ ১২ জুলাই সেই মালালার ২০তম জন্মদিন। সদ্য কৈশোর অতিক্রম করা মালালা আজ যুবতীর কোঠায় একধাপ এগিয়ে গেলেন।
চলতি বছরের শুরুতে কানাডায় একটি সম্মেলনে মালালা বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, দেশের নেতৃত্বের আসনে বসতে গেলে বয়সটা কোনো বিষয় নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কথা বলেন। এর পাশাপাশি তিনি নিজেও বহুবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসনে নিজেকে দেখতে চেয়েছিলেন। এমনকি নারীবাদীর বিষয়েও একটি সময়ে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তিনি। ছেলে এবং মেয়েদের সমান অধিকার দেওয়ার বিষয়ে প্রচার শুরু করেন মালালা।
২০১২ সালে যখন তার বয়স মাত্র ১৪বছর। ঠিক তখনই সন্ত্রাসবাদী এবং নারীশিক্ষা বন্ধ করার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মালালা। এজন্য তাকে বন্দুকের নলের সামনেও পড়তে হয়। বিশ্বে নারী শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগী হন মালালা। শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমাজে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও যাতে সমান অধিকার পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মালালা।
২০১২ সালেই নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত হন এই তরুণী। ২০ বছর বয়সী মালালা আজ কোটিপতি। তার জীবন নিয়ে লেখা বই বিক্রি করে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে বক্তব্য থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেন তিনি।
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরই সেই প্রাইজের অর্থ থেকে ৫০ হাজার ডলার সে গাজার একটি স্কুলে অনুদান হিসেবে দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/১২ জুলাই ২০১৭/আরাফাত