ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে আসামের বন্যা পরিস্থিতি। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের ৭০ শতাংশ এলাকা পুরোপুরি ডুবে গেছে। পাশাপাশি বেড়েই চলেছে বন্যপশুর মৃত্যুর সংখ্যা।
জানা গেছে, পানির নিচে চলে গেছে এই রাজ্যের ২৪টি জেলা। শুধু আসামে পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অরুণাচলে একই পরিবারের ১৪ জন ধসে চাপা পড়ে মারা গেছেন। বন্যার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ লাখের বেশি মানুষ। তবে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ২৯৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১,৭৬০ হেক্টর শস্য।
অন্যদিকে, পানি থেকে বাঁচতে লোকালয়ে চলে আসছে বন্য জন্তুরা। ফলে বাড়ছে চোরাশিকারিদের সক্রিয়তা। ইতোমধ্যে তিনটি এক শৃঙ্গ গন্ডার, ৪৫টি হরিণ, বেশ কয়েকটি বুনো মোষের মারা যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যের ডিরেক্টর। এছাড়া ১০৮টি পশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুলাই, ২০১৭/ওয়াসিফ