রাশিয়ান আইনজীবীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের সাক্ষাৎ নিয়ে টালমাটাল আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গন। বিশ্ব রাজনীতিতেও এটা মূল আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প জুনিয়র কোনো উপায় না পেয়ে সেই সাক্ষাতের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
সাক্ষাতের খবর প্রথম ফাঁস করে আমেরিকার প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে সর্বপ্রথম এ খবর কে ফাঁস করলো- তা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ চলছে। সন্দেভাজনদের তালিকায় শীর্ষে আছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার স্বামী জারেড কুশনার। তালিকায় এফবিআই, রাশিয়ান সূত্র ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাব্য সূত্রের কথা আছে। কিন্তু সবার অভিযোগের আঙ্গুলটি কুশনারের দিকেই তাক করা।
কারণ সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকা কুশনারই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ট্রাম্পের ছেলের সঙ্গে রাশিয়ান আইনজীবীর সেই সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য প্রমাণের ইমেইল রাশিয়ান আইনজীবী দিয়েছিলেন সেগুেলো কুশনারই কপি করে নেন। তাই তিনিই যে ট্রাম্পের ছেলেকে কিংবা পুরো হোয়াইট হাউজকে বিপাকে ফেলতে তথ্য ফাঁস করেছেন সে ব্যাপারে অনেকেই নিঃসন্দেহ। কিন্তু কুশনার এমনটা করবেনই বা কেন? সে প্রশ্ন তো থাকেই।
সবচেয়ে ভালো ব্যাখ্যা হতে পারে যে, ওই সাক্ষাতের খবর কোনো না কোনো ভাবেই ফাঁস হতোই। তখন শুধু ট্রাম্পের ছেলেই নয়, সাক্ষাতে সশরীরে ফাঁসতে হতো জারেড কুশনারকেও। কিন্তু তিনি বিষয়টি আগে ফাঁস করে দেয়ায়, জবাবটা শুধু ট্রাম্প জুনিয়রকে দিতে হচ্ছে। বার বার নিজের অবস্থান বদলাতে হচ্ছে, কারণ ব্যাখ্যা করতে হচ্ছে। যেন সাক্ষাতে তিনিই ছিলেন। অর্থাৎ সবার সমালোচনার তীরটা তার দিকেই। সেদিক থেকে বলতে গেলে কুশনার সফলই হয়েছেন। রাশিয়ান আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে কলঙ্কের কালিমা পড়েছে ট্রাম্পের ছেলের মুখে। গণমাধ্যমের সামনে তিনি বোকা বনে গেছেন। আর কুশনার স্ত্রী ইভাঙ্কাকে নিয়ে বেশ আরামেই পার্টি করে বেড়াচ্ছেন। সূত্র : ডেইলি মেইল
বিডি প্রতিদিন/১৫ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা