২০ বছরের জেল হয়েছে ধর্ষক বাবার। কিন্তু তার কাণ্ড কারখানা সম্পর্কে নিত্যনতুন তথ্য সামনে এসেই চলেছে। এবার মুখ খুললেন ডেরার আর এক নির্যাতিতা নারী। নির্যাতিতা ওই নারী জানিয়েছেন, কীভাবে বাবার যৌন লালসা থেকে বাঁচতে ঋতুমতী হওয়ার অভিনয় করতেন তারা।
ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে ওই নির্যাতিতা নারী জানিয়েছেন, 'রকস্টার বাবা' প্রতিদিন রাত ১১টার সময় তার শয়নকক্ষে ডেকে পাঠাত যে কোন এক সাধ্বীকে।
প্রথম যেদিন তিনি বাবার রাতের বেলা ডেরায় ঢোকার ডাক পান, সেদিনই তিনি বুঝে যান বাবার আসল উদ্দেশ্য। বাবা সেই সময়ে আয়েশ করে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পর্ন ছবি দেখছিল। মেয়েটিকে ঘরে ঢুকতে দেখে বাবা ইশারায় ডাকেন। তখনই চটজলদি বুদ্ধি খাটান ওই সাধ্বী। বলেন, তার পিরিয়ডস শুরু হয়েছে। পরে বাবা দেখেন, তার মতো আরও অনেকেই ঋতুমতী হওয়ার অভিনয় করে বাবার ডাক এড়াচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ধর্ষক বাবার প্রতি রাতে সাধ্বীদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়াকলাপকে সাঙ্কেতিকভাবে 'বাবার মাফি' বলে বর্ণনা করতেন ডেরার বাসিন্দারা।
প্রায় ৫ কোটি ভক্তের এই 'বাবা' নিজেকে ঈশ্বর প্রেরিত দূত বলে ঘোষণা করেছিল। বানিয়েছিল সিনেমাও। তার সাজা ঘোষণার পরে তুমুল অশান্তি করেছিল ভক্তরা। হয়েছিল প্রাণহানিও। বাবাও আদালতে বিস্তর কান্নাকাটি করেছিল। কিন্তু ক্রমেই সামনে আসছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য।
আপাতত আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের অপরাধে ১০ বছর করে মোট ২০ বছরের জন্য জেল খাটছে ধর্ষক বাবা। কিন্তু তার কুকর্মের নিত্যনতুন খবর প্রকাশ্যে আসার বিরাম নেই।
বিডি প্রতিদিন/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/আরাফাত