শুধু ওয়াশিংটনে বসেই নয়, পাকিস্তানকে জঙ্গিদের মদদ দেওয়া বন্ধ করাতে এ মাসের শেষে ইসলামাবাদে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব রেক্স টিলারসন। তিনি ফিরলেই ইসলামাবাদে যাবেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস। পাকিস্তানে যাচ্ছেন আরও কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ।
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর দেরি করতে চাইছেন না। ইসলামাবাদকে জঙ্গিদের মদদ দেওয়া বন্ধ করাতে বাইরে থেকে ধমক ও হুঁশিয়ারি দিয়েই থেমে থাকতে চান না ট্রাম্প। টিলারসন, ম্যাটিসসহ মার্কিন কূটনীতিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের পাঠিয়ে জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্রের মদদ বন্ধ করার ব্যাপারে ইসলামাবাদের মতিগতি পুরোপুরি বুঝে নিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই মতিগতি বুঝেই পাকিস্তান সম্পর্কে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন। ঠিক করা হবে উত্তর কোরিয়ার মতো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না।
জঙ্গিদের যে ইসলামাবাদ লাগাতার মদদ দিয়ে চলেছে, তা নিয়ে সপ্তাহকয়েক আগে তুমুল রেগে গিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তোপ দেগেছিলেন মাসদেড়েক আগে। তার আগে তাঁর মেয়াদ ফুরনোর সময় গত সেপ্টেম্বরে জঙ্গিদের মদত বন্ধ করার ব্যাপারে ইসলামাবাদকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও।
কিন্তু তার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ ওয়াশিংটনে গিয়ে হালে বলেছেন, 'পাকিস্তানকে অযথা দোষারোপ করা হচ্ছে।'
হোয়াইট হাউসের এক পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পররষ্ট্র মন্ত্রীর ওই মন্তব্য ওয়াশিংটন মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। ওই মন্তব্যেই ইঙ্গিত মিলছে, মাস দেড়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তোপ দাগা সত্ত্বেও জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্রের মদত বন্ধ করতে বলার মতো কোনও ব্যবস্থা ইসলামাবাদ নেয়নি। সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/০৭ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত