বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি জানিয়েছেন, যদিও চীনের এই প্রস্তাব এখনই মানেনি ইসলামাবাদ। পাকিস্তান পুরোটাই বিবেচনা করে দেখছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এদিকে রাজনৈতিকমহলের ধারণা, চীনা মুদ্রায় পাকিস্তানের সঙ্গে বেইজিং ব্যবসা করলে পাকিস্তানের বাজার অনেকটাই চলে যাবে চীনের দখলে। শুধু তাই নয়, চীনের শেয়ার বাজার ওঠানামার সঙ্গেও পাকিস্তানের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবাল দাবি করেন, চীন-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক করিডোর তৃতীয় কোন দেশের জন্য হুমকি নয়। বরং বিশ্বের যেকোনো দেশ চাইলে এই করিডোরের সুফল ভোগ করতে পারবে। চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে এই যাবতকালের মধ্যে সর্ববৃহৎ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা হচ্ছে এই অর্থনৈতিক করিডোর।
উল্লেখ্য, পাঁচ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ব্যয়ে এই করিডোর নির্মাণের কাজ শেষ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। পরিকল্পনার আওতায় পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দর থেকে শুরু করে দেশটির উপর দিয়ে চীন পর্যন্ত বিশাল মহাসড়ক নির্মাণ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই করিডোর নির্মিত হলে চীনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক দিয়ে পাকিস্তান ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
বিডি প্রতিদিন/২২ ডিসেম্বর ২০১৭/ওয়াসিফ