ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ছয় ফিলিস্তিনিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে গাজা উপত্যকার একটি সামরিক আদালত। একই ঘটনায় আরও আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন নারীসহ চারজনের ৬ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকি চারজনের প্রত্যেককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইয়াদ আল-বাজম জানিয়েছেন, যারাই ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা করতে চাইবে, এ রায় তাদের জন্য সুস্পষ্ট একটি বার্তা হিসেবে কাজ করবে।
১১ নভেম্বর ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর একটি দল একটি বেসামরিক গাড়িতে করে গাজা উপত্যকায় অনুপ্রবেশ করে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। এতে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের ঊর্ধ্বতন কমান্ডার শেখ নূর বারাকা নিহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গ্রুপ হামাস ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সাথে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে।
বিমান হামলার পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী কামান দিয়েও হামলা চালায়। বিমান হামলায় গুড়িয়ে দেয় হামাসের টিভি স্টেশন। এর পাল্টা হিসেবে হামাসও ইসরায়েলে কয়েক শ’ মিসাইল নিক্ষেপ করে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হন। ১৩ নভেম্বর উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। ইসরায়েলের এই ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনার ঠিক তিন সপ্তাহ পরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ রায় দিল।
২০০৭ সালের পর থেকে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে ৯৭ ফিলিস্তিনি নাগরিককে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন