ব্রেক্সিট নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের চেষ্টা করছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি নতুন পরিকল্পনা পেশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আরো বেশি সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সময় সোমবারই তার ‘প্ল্যান বি’ পার্লামেন্টে পেশ করার কথা। এই প্রস্তাব অনুমোদন হলে তিনি এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে ব্রিটেনের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কখন এবং কিভাবে বের হওয়া সম্ভব হবে সেটি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ভোটে ঐতিহাসিক হারের পর বিপদে পড়েছেন থেরেসা মে। তবে তিনি অনাস্থা ভোটে জয় পেয়ে যান। ব্রিটেনের অর্থনীতির চেয়ে ছয়গুণ শক্তিশালী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু সেই জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। ইইউ’র সিনিয়র কর্মকর্তারাও ব্রিটেনের ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
জার্মানির ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল রোথ বলেছেন, ব্রিটেনে আমরা যে ধরনের দুঃখ দেখছি সেই পরিমাণ দুঃখ-কষ্টের কথা বিশ্বখ্যাত লেখক শেক্সপিয়ারও লিখে যাননি। সোমবারই তেরেসা মে’র তার নতুন প্রস্তাব পেশ করার কথা। তিনি মূলত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ব্যাকস্টপ পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দেবেন। এখানে ‘হার্ড বর্ডার’ নামে কিছু থাকবে না।
ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ১৯৯৮ সালের ‘গুড ফ্রাইডে’ চুক্তিতে সংশোধন আনার পরিকল্পনা করছেন। ওই চুক্তির মাধ্যমে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে ৩০ বছরের সহিংসতার অবসান ঘটেছিল। তবে তেরেসা মে’র নতুন প্রস্তাব বিরোধী এবং নিজের টোরি দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম