কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আর এই উত্তেজনায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেশী দুই দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
কাশ্মীরে ধারা ৩৭০ তুলে নেয়ায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে আরও এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটন গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখছে। ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখারও আহ্বান জানানো হচ্ছে দু' দেশকেই।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস ভারত ও পাকিস্তানকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিক জানিয়েছেন, 'কাশ্মীর রিজিয়নে তপ্ত পরিস্থিতিতে আমরা চিন্তিত। কাশ্মীরে ভারতের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আমরা সতর্ক।
অন্যদিকে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা তুলে নেয়ার ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তান সংসদে যৌথ অধিবেশন ডেকেছে ইসলামাবাদ।
সোমবার রাতে ভারতের রাজ্যসভায় কণ্ঠভোটে পাশ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১২৫টি, বিপক্ষে ৬১টি। এই সিদ্ধান্তে সরকার সমর্থন পেয়েছে, মায়াবতীর বিএসপি, নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ, জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস, এআইএডিএমকে, শরিক শিবসেনা, টিআরএস এবং টিডিপি-র।
বিজেপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে বদলে গেল জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা। ৬৯ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে রদ ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারাল জম্মু ও কাশ্মীর। একই সঙ্গে কাশ্মীর থেকে ভেঙে আলাদা করে দেয়া হলো লাদাখকে। দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ - দু’টি জায়গাতেই থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। সূত্র: আনন্দবাজার, নিউজএইটট্রিন
বিডি প্রতিদিন/০৬ আগস্ট, ২০১৯/আরাফাত