২০১৬ সালের ঘটনা। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বোন ও সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের মেয়ে হাসা বিনতে সালমান প্যারিসে তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে প্লাম্বার (পাইপ মিস্ত্রি) আশরাফ আইদকে পেটানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আশরাফ আইদের অপরাধ তিনি বিনা অনুমতিতে ছবি তুলেছেন।
এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪৩ বছর বয়সি রাজকন্যা তার দেহরক্ষীকে বলেন সাইদকে বেঁধে পেটাতে। তা-ই করা হয়। হাত-পা বেঁধে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারা হয় সাইদকে। পেটানোর সময় রাজকন্যা হাসা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘কুকুরটাকে মেরে ফেলো, ওর বেঁচে থাকার অধিকার নেই।’
প্লাম্বারকে পেটানোর অভিযোগে সৌদি রাজকন্যার বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয় গত জুলাই মাসে। বৃহস্পতিবার প্যারিসের এক আদালত শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করে। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দশ মাসের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার ইউরো জরিমানা করেন আদালত। এছাড়া দেহরক্ষী রানি সাইদাকে আট মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় হাসা বিনতে সালমান আদালতে ছিলেন না। প্লাম্বার আরশাদ আইদের দাবি, তিনি নিজের মোবাইলে শুধু রাজকন্যার অ্যাপার্টমেন্টের গোসলখানার ছবি তুলেছিলেন। এই অপরাধেই তাকে বেদম পেটানো হয়, মোবাইলটিও ভেঙে ফেলা হয়। রাজকন্যা হাসা বিনতে সালমানের আইনজীবী বলেছেন, মামলাটি কল্পনাপ্রসূত, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। সূত্র : সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক