প্রথমবারের মত শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে ম্যালেরিয়ার টিকা। এ টিকা আবিষ্কৃত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তা মানবদেহে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
শুক্রবার আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুদের এই টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এই টিকা মশাবাহী রোগ ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় জয় এনে দেবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
প্রতি বছর বিশ্বের ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হন, যাদের বেশিরভাগই শিশু।
আগামী তিন বছরের মধ্যে কেনিয়ার তিন লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া হবে। ম্যালেরিয়াতে গোটা পৃথিবীতে প্রতি বছর যত মানুষ মারা যায়, তার অর্ধেকই মারা যায় আফ্রিকা অঞ্চলের পাঁচটি দেশে।
প্রায় ৩০ বছর ধরে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই টিকা। ‘আরটিএস,এস’ নামের এ টিকা শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ম্যালেরিয়ার জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে।
এ টিকা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে বলে আশা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানায়, পরপর তিন মাসে তিন ডোজ এবং ১৮ মাস পর চতুর্থ ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
কেনিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ওয়েকেসা মাসাসাবি জানান, আমাদের এখনও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে শতকরা ২৭ শতাংশ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।
গেল বছরে আফ্রিকার তিন দেশ ঘানা, কেনিয়া ও মালাউয়িতে কিছু কিছু এলাকায় ডব্লিউএইচও থেকে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন