নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে চলতি সপ্তাহে সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে তাকে সমর্থন দেন কনিষ্ঠতম কংগ্রেসওম্যান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো-করটেজ। ২০ হাজার মানুষের জন্যে পার্কটি ভাড়া করেছিলেন ৭৮ বছর বয়েসী স্যান্ডার্স। কিন্তু ভরদুপুরেই তা পূর্ণ হওয়ায় কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
সমাবেশ স্থলটি হচ্ছে আলেক্সান্দ্রিয়ার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে। ২০১৬ সালে স্যান্ডার্সের পক্ষে তৃণমূলের সংগঠক ছিলেন তিনি।
আলেক্সান্দ্রিয়া বলেন, স্যান্ডার্স হচ্ছেন আমার অনুপ্রেরণা। অভিবাসী সমাজের স্বার্থে আমি সবসময় সোচ্চার রয়েছি এবং এ শিক্ষা লাভ করেছি স্যান্ডার্সের কাছ থেকে। ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন যাতে স্যান্ডার্সের ভাগ্যে জুটে সে চেষ্টা করছি। হোয়াইট হাউজে একজন ভালো মানুষের সংকট পূরণে স্যান্ডার্সের বিকল্প নেই। ছাত্র, স্বল্প আয়ের মানুষ আর অভিবাসী সমাজের সাথে স্যান্ডার্সের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। তিনি সারাটি জীবন এ শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন। সকলের জন্যে মেডিকেয়ার এবং স্টুডেন্ট লোনের দায় থেকে বিরাট জনগোষ্ঠিকে মুক্ত করার সুদূরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা রয়েছে স্যান্ডার্সের। আর এ কারণেই ২০১৬ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমেরিকার রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে।
এতে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং পরিচালক মাইকেল ম্যুর বক্তব্যে বলেছেন, বয়সের দোহাই দিয়ে বিরোধিতা করা হচ্ছে বার্নি স্যান্ডার্সের। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে অভিজ্ঞতার বিকল্প নেই। বয়সের অজুহাতই যদি দেখানো হয় তাহলে ৭৮ বছর পুরনো সোস্যাল সিকিউরিটি সিস্টেম বহাল রাখা হয়েছে কেন? বয়সের কারণে কেউ অযোগ্য হতে পারে না। যে কোন সময় যে কেউ মারা যেতে পারেন, বয়সের দোহাই দিয়ে কাউকে অপদস্থ করা উচিত নয় অন্তত: যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশে।
কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি নির্বাচনে মাত্র ৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত রাজনীতিক টিফানি কাবানও স্যান্ডার্সের সংগঠক হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, নীতি-নৈতিকতাহীন নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এ অবস্থার অবসানে চাই বার্নি স্যান্ডার্সের মতো নির্লোভ নেতৃত্ব।
স্যান্ডার্স তার বক্তব্যে নিউইয়র্কবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ডেমক্র্যাটিক প্রাইমারিতে একইচেতনায় সমর্থন দিতে হবে খেটে খাওয়া মানুষের বিশ্বস্ত প্রতিনিধিকে হোয়াইট হাউজে প্রেরণের পথ সুগম করতে। আন্তর্জাতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে একঘরে করার মতলববাজদের বিতাড়িত করতে হবে হোয়াইট হাউজ থেকে।
দু’সপ্তাহ বিশ্রাম নেয়ার পর এটি ছিল স্যান্ডার্সের প্রথম নির্বাচনী সমাবেশ। এতে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিও ছিলেন স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে। আলেক্সান্দ্রিয়ার নির্বাচনে তরুন বাংলাদেশিসহ দক্ষিণ এশিয়ানদের সোচ্চার রাখতে সক্রিয় সংগঠকদের অন্যতম রাসেল কবির এবং তীর্থ দত্ত ছাড়াও ছিলেন কাজী ফওজিয়া, মুনিরা আহমেদ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা