নির্ধারিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বরিস জনসনের বের হওয়ার পরিকল্পনা আপাতত সফল হচ্ছে না। ১২ ডিসেম্বরে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাবের ওপর আয়োজিত ভোটে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে হেরে গেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জনসন। খবর বিবিসির।
পার্লামেন্ট জনসনের প্রস্তাব অনুমোদন করলে যুক্তরাজ্য পরের মাসের ১ তারিখে, ১ ডিসেম্বরে কিংবা ১ জানুয়ারিতে ইইউ ত্যাগ করতে পারত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৩৫ ভোট কম পাওয়ায় জনসনের প্রস্তাব অনুমোদন হয়নি।
এই ভোটের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় সোমবার ব্রেক্সিটের জন্য তিন মাস সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অর্থাৎ সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যেতে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে যুক্তরাজ্য।
কিন্তু জনসনের ইচ্ছা ছিল ৩১ অক্টোবরের ভেতরই ইইউ থেকে বেরিয়ে যাবেন। বিরোধীদের রাজি করাতে না পেরে আগাম নির্বাচনের বিল আনেন। এটি পাস হলে বিশেষ ক্ষমতা বলে তিনি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করতে পারতেন।
‘ব্রিটেন এক্সিট’কে সংক্ষেপে বলা হয় ব্রেক্সিট। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া এটি। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ একে অন্যের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারে, নাগরিকেরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারে এবং সেখানে বসবাস করতে পারে।
প্রায় ৪০ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালের জুনে একটি গণভোট আয়োজন করে যুক্তরাজ্য। অধিকাংশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দেন। এই ভোটের পর সেখানকার রাজনীতি রীতিমতো এলোমেলো হয়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম