১৭ জানুয়ারি, ২০২০ ১৬:১৯

নির্ভয়াকাণ্ডে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ রাষ্ট্রপতির

অনলাইন ডেস্ক

নির্ভয়াকাণ্ডে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ রাষ্ট্রপতির

ভারতের আলোচিত নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন  রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 

বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর পর সেটি নাকচ করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনীর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর গত মঙ্গলবার প্রাণভিক্ষার আবেদন ফাইল করেন মুকেশ।

দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল। ওই মৃত্যু পরোয়ানায় তিহার জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তাদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া জটিলতায় ওই ধার্য দিনে ফাঁসি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়।

প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিলে, তার ১৪ দিন পর দোষীদের ফাঁসি দেওয়াটাই প্রথা। সেই প্রথা অনুযায়ী মুকেশের ফাঁসির তারিখ জানুয়ারির শেষে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, বাকি দোষী বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্তের হাতেও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

২২ জানুয়ারি ফাঁসি না হলেও প্রস্তুতিতে খামতি রাখছে না তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবারই নির্ভয়া মামলায় দোষী চারজনকে জেলের তিন নম্বর ব্লকে নিয়ে আসা হয়। তবে প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। এতদিন অক্ষয় ও মুকেশের ঠিকানা ছিল জেলের দুই নম্বর ব্লক। বিনয় ছিল ব্লক নম্বর চারে। মান্ডোলা জেল থেকে তিহারের দুই নম্বর ব্লকে আনা হয়েছিল পবনকে। এবার চারজনকেই একই ব্লকে নিয়ে আসা হল। এই ব্লকেই রয়েছে ফাঁসিকাঠ। যদিও মুকেশ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোয় ২২ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না। 

রাষ্ট্রপতি মুকেশের আবেদন খারিজ করলেও ১৪ দিনের আগে ফাঁসি আর সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর দিল্লির একটি হলে সিনেমা দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাসে করে ফিরছিলেন প্যারামেডিক্যালের ওই ছাত্রী। যাত্রী কম থাকায় বাসের চালক-সহকারীসহ অন্তত ছয়জন মিলে নির্ভয়ার বন্ধুকে পিটিয়ে হাত-পা বেঁধে বাসের পেছনের দিকে ফেলে রাখে। মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। পরে দু’জনকে দিল্লির একটি সড়কের পাশে বাস থেকে ছুড়ে ফেলা হয়।

পরে আহতাবস্থায় দেশটির সরকার মেডিকেলের এই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠায়। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৬ ডিসেম্বর মারা যান তিনি। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর