সোমবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভারত-চীন সীমান্তে। ভারতীয় মিডিয়া বলছে, লাদাখে দু’পক্ষের হাতাহাতি একেবারে গোলাগুলির জায়গায় পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে এক সেনা অফিসারসহ দুজন সেনা সদস্য শহীদ হয়েছে। এই ঘটনার পরেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে শুরু হয়েছে জোর বৈঠক।
অন্যদিকে, এই সুযোগে লাগাতার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন শুরু করেছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের নৌসেরা সেক্টরে লাগাতার শেলিং পাকিস্তানের সেনার। সীমান্তের এপারে থাকা ভারতীয় সেনা ছাউনি ও সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোকে টার্গেট আক্রমণাত্মক ভাবে শেলিং করছে। যদিও একেবারে খোলা হাতে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় সেনাও। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। হতাহতেরও খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ভারত সীমান্তে গত কয়েকদিন ধরে লাগোয়া গ্রামগুলোকে লক্ষ্য করে ক্রমাগত পাকিস্তানি সেনা মর্টার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সেনা সূত্রে খবর। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মর্টার হামলা চলছে বলে জানা ঘেছে। চলছে গুলি বর্ষণও। এই হামলার ফলে উরি সেক্টরের বাটগ্রান গ্রামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। নিয়ন্ত্রণরেখা একেবারে কাছে থাকা ভারতীয় প্রান্তের শেষ গ্রাম হল এই বাটগ্রান।
গত দু সপ্তাহ ধরে পাকিস্তান উরির হাজিপের ও কমলকোট সেক্টরে ক্রমাগত হামলা চালিয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি, যেমন চুরুনদা, বাটগ্রান, হাতলাঙ্গা, মোথাল, সাহুরা, সিলিকোটে, বালাকোট, নাম্বলা, গরকোটে ও উরিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিকে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল গত ছয় মাসে পাকিস্তানের সেনা ভারত সীমান্তে ২০০০ বারেরও বেশি সময় হামলা চালিয়েছে। বিনা প্ররোচনাতেই এই হামলা চলেছে বলে খবর।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক