করোনার নেতিবাচক প্রভাবে গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্রিটেনের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যাক চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। স্যান্ডুইচ শপ থেকে শুরু করে অভিজাত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, এভিয়েশন সেক্টরসহ সর্বত্র নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বুধবার সাতশ জনের চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে লন্ডনের অভিজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হ্যারডস। শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান জন লুইস চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিলেও কতজনকে ছাঁটাই করবে তার সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
ফ্যাশন ডিজাইনার টপশপের মালিক আর্কেডিয়ার হেড অফিস থেকে অন্তত পাঁচশ এবং ভার্জিন মানিও এর দুটি শাখা থেকে তিনশ স্টাফ ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার পুরুষদের ফ্যাশন ডিজাইনার প্রতিশষ্ঠান টিএম ল্যুউইন অন্তত ছয়শ স্টাফ ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়। একই দিন অন্তত ৭২৭ জন পাইলট ছাঁটাই এবং একই সঙ্গে স্ট্যানস্টেড, সাইথঅ্যান্ড এবং নিউক্যাসল বিমান বন্দরে এর কার্যক্রম বন্ধের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইজি জেট।
বুধবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, প্রায় ১ হাজার তিনশ ক্রু এবং সাতশ ২৭ জন পাইলট ছাঁটাই করা হবে। ইজি জেটের প্রায় ৮০ শতাংশ পাইলট বর্তমানে সরকারের কাছ থেকে ফারলো পাচ্ছেন। এই কম্পানিকে সরকার করোনা লকডাউনের পর প্রায় ছয়শ মিলিয়ন পাউন্ড ঋণও দিয়েছে।এদিকে, উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস ওয়েলস এবং বৃস্টল থেকে অন্তত এক হাজার সাতশ চাকরি ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকেও স্টাফ ছাঁটাই করবে বলে জানিয়েছে। উল্লেখ্য, করোনার কারণে লকডাউন শুরুর পর থেকে জব রিটেনশন স্কীমের অধিনে অন্তত ৯ মিলিয়ন কর্মকর্তা কর্মচারীকে ফারলো দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ জন্যে এরই মধ্যে সরকারের প্রায় ২৫ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়েছে। তবে অগাস্ট থেকে ফারলোর নিয়মে আরো পরিবর্তন হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
