নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির যুগ্ম চেয়ারম্যান পুষ্পকমল দাহাল প্রচণ্ডের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত হোউ ইয়ানকি। প্রচণ্ডের বাড়িতে ৫০ মিনিট ধরে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকালে প্রচণ্ডের বাড়িতে দুইজন মন্ত্রীও ছিলেন। তারা বিদায় নেওয়ার পর বৈঠক শুরু হয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে চরা সে বৈঠকের আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। এর আগে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি, প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, একাধিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ক্ষমতাসীন দলের জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
ওলির পদত্যাগ চেয়ে দলের যুগ্ম চেয়ারম্যান প্রচণ্ড সরব হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে নেপালে। ক্ষমতাসীন দলের ৪৪ জন সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে ৩০ জনই প্রচণ্ডের পাশে দাঁড়ানোর ফলে বিপাকে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। ওলি ও প্রচণ্ড সম্প্রতি ছয়টি বৈঠক করলেও ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। ক্ষমতাসীন দলটির মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চীনা রাষ্ট্রদূত এসব বৈঠক করছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, নেপালে দূরদর্শন ছাড়া ভারতের সবগুলো চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে। গতকাল সকালে নেপালের শাসক দলের মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে নেপাল-বিরোধী অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননামূলক মন্তব্য করা হচ্ছে ভারতের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে। তার পরই সব ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়।এদিকে, বিতর্কিত তিনটি এলাকা অন্তর্ভূক্ত করে নেপাল সরকার যে নতুন মানচিত্র পার্লামেন্টে পাস করেছে, দিল্লি তার প্রতিবাদ করে কূটনৈতিক বার্তা পাঠিয়েছে। এ বছরের মে মাসের ২০ তারিখে ওলি সরকার ভারতের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশের পর পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধন করে তা অনুমোদন করিয়ে নেয়।
সূত্র : কাঠমাণ্ডু পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা