পাকিস্তানকে কবজা করাই এখন পাখির চোখ চীনের। আর বেইজিংয়ের সেই স্বপ্নপূরণের হাতিয়ার চীন-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাকিস্তানের আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ইসলামাবাদ ক্রমশ চীনের হাতের পুতুলে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে হাতের পুতুল পরিণত করতে চাইছে বেইজিং। এর ফলে একদিকে চীনের অর্থনীতির বাজার যেমন বড় হবে। তেমনই ভারতের উপর চাপ তৈরি করা অনেকটাই সহজ হবে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বহুদিন ধরে চীন পাকিস্তানের উপর কবজা করতে চাইছে। কিন্তু তা বারবার সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে। শেষপর্যন্ত চীনের হাতের পাঁচ হয়ে দাঁড়ায় চীন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ইসলামাবাদের বিদ্যুৎ ও পরিকাঠামোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে করিডোর কর্তৃপক্ষ। আর এই বেইজিংয়ের এই প্রস্তাবেব বিরোধিতা করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এরপরই তাকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল ইমরান খান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার বদলে এই চুক্তি মেনে নেন ইমরান। এরফলে ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান সরকারের কলকাঠি নাড়বে চীন। কিন্তু কেন পাকিস্তানের উপর রাজনৈতিকভাবে কবজা করতে চাইছে চীন?
উপমহাদেশীয় এলাকায় কর্তৃত্ব ফলানো মূল লক্ষ্য বেইজিংয়ের। আর তার জন্য পাকিস্তান, নেপাল, ভূটানকে হাতের মুঠোয় রাখতে চাইছেন জিনপিং। আবার এই চাল সফল হলে ভারতকেও বিপাকে ফেলা সহজ হবে। তবে দুর্বল অর্থনীতির যেসমস্ত দেশ চীনের এই ফাঁদে পা দিয়েছে, তাদের অর্থনীতি চিরকালের মতো নষ্ট হয়েছে। ফলে চীনের সামনে হাত পেতে থাকা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি নেই। খুব শীঘ্রই পাকিস্তানেরও তেমন পরিস্থিতি হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক